ছাত্রী ধর্ষণ : পরিমলের যাবজ্জীবন

SHARE

179ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক পরিমল জয়ধরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার ‍দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক সালেউদ্দিন আহম্মেদের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গত ১০ নভেম্বর উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ২৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। মামলায় মোট ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জন বিভিন্ন সময়ে আদালতে সাক্ষ্য দেন। মামলায় বিদ্যালয়টির বসুন্ধরা ক্যাম্পাসের শিক্ষক পরিমলই একমাত্র আসামি। আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিও দেন পরিমল।

গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার লাটেংগা গ্রামের বাসিন্দা পরিমল ২০১০ সালে ভিকারুননিসার বসুন্ধরা শাখায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ২০১১ সালের ২৮ মে প্রথম ধর্ষণ করে পরিমল। ওই সময় ছাত্রীর নগ্ন ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করা হয়। তাকে জিম্মি করে ১৭ জুন পুনরায় ধর্ষণ করা হয়।

বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর ভিকারুননিসার ছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একপর্যায়ে পরিমলকে বরখাস্ত করে। এরপর ৫ জুলাই ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পরিমল জয়ধর, অধ্যক্ষ হোসনে আরা ও লুৎফরকে আসামি করে মামলা করেন। এর একদিন বাদেই পরিমলকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে তার স্ত্রীর বড় বোনের বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় পরিমল।

মামলার শুনানিতে বিচারকের কাছে ওই ছাত্রী পরিমলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যও দিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে পিপি ফোরকান মিয়া ও আসামির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী মাহফুজরু রহমান।

২০১৩ সালের ৭ মার্চ আদালতে অভিযোগ গঠনের সময় অব্যাহতি দেয়া হয় অধ্যক্ষ হোসনে আরা ও লুৎফরকে। তারপর থেকে শিক্ষক পরিমলই একমাত্র আসামি।