তিতাসে অধ্যক্ষের অনিয়মের প্রতিবাদ দায় সারতে ঘটনা ভিন্নখাতের নেয়ার চেষ্টা

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,হোমনা প্রতিনিধি,১৩ এপ্রিল : কুমিল্লার তিতাস উপজেলার গাজীপুর খান মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের নানাহ অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপকৌশল অবলম্বন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার বিকালে কলেজের গভনিং বডির হিতৈষী সদস্য মো. ফরহাদ আহমেদ ফকির ও কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন এর সাথে কলেজের অফিস কক্ষে।
কলেজ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাজীপুর খান হাই মডেল স্কুল এন্ড কলেজটি দীর্ঘদিনের একটি স্বনামধ্যন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক গুণিজন সৃষ্ঠি হয়েছে। আর তাদেও মধ্যে অন্যতম কুমিল্লা-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ¦ আমির হোসেন ভূঁইয়া। কিন্ত নতুন করে গভর্নিং বডির কমিটি ঘটনের পর থেকে বিদ্যালয়টি নানাহ অনিয়মের মাধ্যমে তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। গত কয়েক মাসে এ নিয়ে একাধিক প্রতিবেদনও পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ একটা অদৃশ্য মহলের ইশারায় প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের জন্য কলেজের হিতৈষী সদস্য ফরহাদ আহমেদ ফকিরকে কোন রকম নোটিশ বা শোকজ ছাড়াই তাকে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে নতুন করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কলেজের আয় ব্যয়ের হিসাব জানতে গিয়ে বিষয়টি পরিস্কার হয়। তখন রাগে উভয়ের মধ্যে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে অফিস কক্ষের টেবিলের কাচটি ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং চেয়ার ছেড়ে সবাই চলে আসে। তবে ঘটনাটি এখন সাধারন ছাত্র ও ছাত্রলীগের নামে জড়িয়ে ভিন্নখাতে প্রবাহীত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করনে।
এ বিষয়ে কলেজের হিতৈষী সদস্য মো. ফরহাদ আহমেদ ফকির সাংবাদিকদের বলেন, প্রিন্সিপাল একটা মহলের ইশারায় ব্যক্তিগত খাতে টাকা খরচ করে কিছু ভূয়া ভাইচার তৈরী করে। সেগুলোতে আমি স্বাক্ষর না দেয়ায় তিনি কলেজের অর্থ লোপাট করতে পারছিলো না। সে জন্য একটা মহলের সাথে যোগসাজস করে আমাকে কোন রকম শোকজ বা নোটিশ না করেই সম্পূর্ণ বেইআনি ভাবে নতুন করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে ভাংচুরের বিষটি আমি জানিনা।
কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন সাংবাদিককে মুঠোফোনে জানান, আমি কেনো টাকা আত্মসাৎ করবো। কলেজের প্রয়োজনে খরচ করা হয়। এটা সকলের সম্মতিক্রমেই খরচ ও ভাউচার তৈরী হয়। আর তাকে (ফরহাদকে) কমিি তে যোগদান করার জন্য নোটিশ করা হয়েছে। সে না আসলে কিছু করার নাই।