ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,গাজীপুর প্রতিনিধি,১১ এপ্রিল : গাজীপুরে কারাবন্দি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হরকাতুল জিহাদের শীর্ষনেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলের স্বজনদের ডেকেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, দু’জনের পরিবারকে সাক্ষাতের জন্য ডাকা হয়েছে। তবে কখন ফাঁসি কাযকর করা হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
এর আগে রাষ্ট্রপতি তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করার পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.)-এর মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর অনুষ্ঠানে ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করা হয়। আনোয়ার চৌধুরী বেঁচে যান। কিন্তু আহত হন অন্য অর্ধশতাধিক মানুষ।
মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। উচ্চ আদালত ও আপিল বিভাগেও এই রায় বহাল থাকে।
অবশেষে অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কৃপা প্রার্থনাই ছিল প্রাণ বাঁচানোর শেষ সুযোগ। সেই সুযোগ নিতে গত ২৭ মার্চ কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন তারা।
আবেদন কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে যায় আইন মন্ত্রণালয়ে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে তা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে যায়। রাষ্ট্রপতি তার সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর ওই নথি ফিরে আসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
সোমবার বেলা ১টার দিকে হান্নান ও বিপুলের প্রাণ ভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি নাকচ করার চিঠি কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। কারা কর্তৃপক্ষ এই চিঠি পাওয়ার পর ফাঁসি কার্যকর করার পথে আর কোনো বাধা নেই।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপন রয়েছেন সিলেট কারাগারে। তারও প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করেন রাষ্ট্রপতি।