ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,১০ এপ্রিল : ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ে করেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ তারকা শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। তারকা দম্পতির ঘরে জন্ম নিয়েছে আবরাম খান জয় নামের পুত্রসন্ত্রান। তার বয়স এখন ছয় মাস। সংবাদ দুটি অবশ্যই খুশি ও আনন্দের। কিন্তু এ দুটি খবর দেশবাসীকে অপু জানালেন অশ্রুসিক্ত নয়নে। আজ সোমবার বিকালে বেসরকারি টিভি চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের লাইভ অনুষ্ঠানে অপু বিশ্বাস নিজেই এমটা দাবি করেন। আর বিষয়টি নিয়ে শাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ে ও সন্তানের কথা স্বীকার করেন। তবে এর বেশি কিছু তিনি জানাননি। টিভি চ্যানেলে অপু বিশ্বাসের লাইভ সাক্ষাৎকারের পরই দেশের একটি সংবাদমাধ্যম শাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ কথা স্বীকার করেন।
অপু বিশ্বাস জানান, ২০০৮ সালে ১৮ এপ্রিল তাঁদের বিয়ে হয়। শাকিবের ঢাকার বাসায় এই বিয়ে হয়। পরিবারের কাছের লোকজন সেই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের সময় তার নাম হয় অপু ইসলাম খান। শাকিবের ইচ্ছাতেই এতো দিন বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে। হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়ার ১০ মাস পর ফেরেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, এই দীর্ঘ সময়টায় তিনি ভারত, সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককে ছিলেন। কলকাতার একটি হাসপাতালে তার ছেলের জন্ম হয়, ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর। ছেলের নাম আব্রাহাম খান জয়। অপু বিশ্বাস এসব কথা বলতে গিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, শাকিবের ভালো চিন্তা করে তিনি সব করেছেন। অনেক ছাড় দিয়েছেন। ধৈর্য ধরতে ধরতে শেষ সীমানায় পৌঁছে গেছেন তিনি। তাই এবার সব বলছেন।
শাকিব সম্মান করেননি, বরং বারবার ছোট করেছেন বলে অপু বিশ্বাস বলেন। তাঁর ভাষায়, ‘সম্মান চেয়েছি। পাইনি। বারবার ছোট হয়েছি।’ একপর্যায়ে অপু বিশ্বাস বলেন, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর শাকিব তাকে বলেছেন নিজেকে লুকিয়ে রাখতে। তাই তিনি তেমনটা করেছেন। সন্তান হওয়ার সময় শাকিব তার পাশে ছিলেন না। তবে ঢাকায় আসার পর সন্তানকে দেখতে যান। সন্তানের সব খরচও দেন। তিনি বলেন, তার ছেলেকে তিনি মানুষের মতো মানুষ করতে চান। সবার কাছে দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, আমি চাই, আমার ছেলে যেন কখনো কোনো মেয়েকে প্রতারণা না করে।
এর আগে, প্রায় ১১ মাস ধরে অপু বিশ্বাস ‘নিখোঁজ’ ছিলেন। সংবাদমাধ্যমগুলোতে এমন খবরই এসেছে। এসময় চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেননি। তার নিকেতনের বাসায় তাকে পাওয়া যায়নি। এমন কি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে টু-শব্দটিও মেলেনি তার প্রধান নায়ক শাকিব খানের মুখ থেকে। এ বিষয়ে হয়নি কোনও জিডি কিংবা থানা-পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে শাকিব খানকে সেসময় একাধিকবার প্রশ্ন করা হলেও তিনি অপু্র বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।