ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,০৯ এপ্রিল : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আপত্তি জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা৷ তিস্তা উত্তরবঙ্গের লাইফ লাইন৷ তাই এই চুক্তির বদলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি৷ কলকাতার অনলাইন নিউজ পোর্টাল কলকাতা২৪x৭ এই তথ্য জানিয়েছে।
আজ শনিবার নয়াদিল্লি সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের সময়।তিস্তার সমস্যা মেটাতে তোর্সা, জলঢাকাসহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি নদীর পানিবন্টনের বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মমতা তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের বাড়ির লনে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে মমতা সাংবাদিকদের জানান, তিস্তার সমস্যা তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে বলেছেন। মমতার যুক্তি, তিস্তার জলের অভাবে এনটিপিসির বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। সেচের জন্য জল পেতে সমস্যা হচ্ছে। ফলে তিস্তার জল বাংলাদেশে পাঠানো সম্ভব নয়৷
সূত্র জানায়, শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের একপর্যায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও বৈঠকে যোগ দেন। সেখানেই মোদি তিস্তার বিষয়টি তোলেন।
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে মমতা সাংবাদিকদের বলেন, উত্তরবঙ্গে তোর্সা, জলঢাকাসহ চারটি নদী আছে। সেখানে পানি আছে। ফলে তিস্তার বিকল্প হিসেবে এই চারটি নদীর পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কলকাতা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেছেন, কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর নামে ভবন হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার হতে পারে। তাঁদের আলোচনায় দুই বাংলায় দুই দিন পয়লা বৈশাখ উদযাপনের বিষয়টি উঠে আসে।
এর আগে, নয়াদিল্লী সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে আজ শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি তিস্তা সমস্যা কেবলমাত্র আমার সরকার এবং শেখ হাসিনার সরকারই করতে সক্ষম হবে এবং যতশিগগির সম্ভব তিস্তার পানি বন্টন সমস্যার সমাধান হবে।’