প্রাণভিক্ষা চাইবেন জঙ্গি রিপন

SHARE
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,সিলেট প্রতিনিধি,২৩ মার্চ :  সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামির অন্যতম সিলেট কেন্ত্রীয় কারাগারে বন্দি জঙ্গি দেলোয়ার হোসেন রিপন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করবেন।
বুধবার রাতে রিপন তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার ছগির মিয়া।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা কারা কর্তৃপক্ষকে জানান। প্রাণভিক্ষার লিখিত আবেদন পাওয়ার পর তা রাষ্ট্রপতির নিকট পাঠানো হবে।
আজ বেলা ১২টার দিকে রিপন বলেছেন, তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন। আবেদন করার জন্য তিনি ৭ দিন সময় পাবেন। সেই দিন গণনা বুধবার থেকে শুরু হয়েছে।
এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল আছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে। তারাও প্রাণভিক্ষা চাইব্নে বলে বুধবার কারা কর্তৃপক্ষকে ইংগিত দিয়েছেন।
সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে ২০০৪ সালের ২১ মে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী গ্রেনেড হামলার মুখে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই পুলিশের এএসআই কামাল উদ্দিন নিহত হন।
এ ছাড়া পুলিশ কনস্টেবল রুবেল আহমেদ ও হাবিল মিয়া নামের আরেক ব্যক্তি মারা যান হাসপাতালে। আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অন্তত ৪০ জন ওই ঘটনায় আহত হন।
ওই ঘটনায় করা মামলার চূড়ান্ত রায়ে আপিল বিভাগ গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ৩ আসামির সর্বোচ্চ সাজার রায় বহাল রাখে।
এ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আসামি মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে হাই কোর্ট যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছিল। আপিল না করায় তাদের ওই সাজাই বহাল থাকে।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামি রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। তাদের আবেদন গত ১৯ মার্চ সর্বোচ্চ আদালতে খারিজ হয়ে যায়। ফলে চূড়ান্ত বিচারেও ফাঁসির রায় বহাল থাকে।
প্রাণ বাঁচাতে এই ৩ জঙ্গির সামনে এখন কেবল কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কৃপা চাওয়ার সুযোগই বাকি।
প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে সরকার কারাবিধি অনুযায়ী তাদের দণ্ড কার্যকর করবে। সরকারের নির্দেশনা পেলে দণ্ড কার্যকরের সব প্রস্তুতি রয়েছে বলে বুধবারই জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।