ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,স্বাস্থ্য প্রতিবেদক,১১ মার্চ : তেঁতুল সুবৃহৎ ও সুদৃশ্য চিরসবুজ বৃক্ষ। গাছ প্রায় ২৪ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। তেঁতুলগাছের পাতা, ছাল, ফলের শাঁস(কাঁচা ও পাকা), পাকা ফলের খোসা, বীজের খোসা সব কিছুই ব্যবহার হয়ে থাকে। তেঁতুলে শাঁসে টারটারিক এসিড থাকায় এরূপ টক স্বাদ হয়। তেঁতুলের আদি নিবাস আফ্রিকার সাভানা অঞ্চল ও দক্ষিণ এশিয়া। ধারণা করা হয় সুদান থেকেই তেঁতুল বাংলাদেশের মাটিতে এসেছে। তাহলে এবার আসুন জেনে নেই এর উপকারী দিক গুলো।
১. এটি পরিপাকবর্ধন ও রুচিকারক। তেঁতুলের কছিপতপায় রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে এমাইনো এসিড।
২. পাতার রসের শরবত সর্ধি-কাশি, পাইল্স ও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ায় বেশ কাজে দেয়।
৩. তেঁতুল চর্বি কমানোয় বেশ বড় ভূমিকা রাখে। তাবে তা দেহের কোষে নয়, রক্তে। এতে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্রাইসেরাইডের মাত্রা এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
৪. দেখা যায় পুরোনো তেঁতুলের কার্যকারিতা বেশি। যদি পেট ফাঁপার সমস্যা থাকে এবং বদহজম হয়, তাহলে পুরোনো তেঁতুল এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে সামান্য লবণ, চিনি বা গুড় দিয়ে খেলে অসুবিধা দূর হবে। আবার হাত-পা জ্বালা করলেও এই শরবতে উপকার পাওয়া যায়।
৫. তেঁতুলের বীজও বিভিন্ন শিল্পে কাজে লাগে।
৬. পাকা ফলের শাঁস শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়।
৭. তেঁতুলের পাতা বেটে মরিচ ও সামান্য লবণ দিয়ে বড়া তৈরি করে পান্তাভাতের সাথে খেলে শরীরে এমাইনো এসিড পাওয়া যায়।
৮. তেঁতুলের সাথে রসুন মেশানো যায়, এটি রক্তের চর্বি কমানোর কাজে লাগে।
৯. তেঁতুল এমনই এক ভেষজ, যার সব অংশই কাজে লাগে।
* তেঁতুল বা তিন্তিড়ী হল একপ্রকার টক ফলবিশেষ। হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে খুব উপকারী তেঁতুল বসন্তকালের ফল হলেও সারা বছরই পাওয়া যায়। অনেকেরই ধারণা তেঁতুল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং রক্ত পানি করে। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভূল। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর ভেষজ ও পুষ্টিগুণ। তেঁতুল দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। ভেষজবিদদের মতে, নিয়মিত তেঁতুল খেলে শরীরে সহজে মেদ জমতে পারে না।