
বার্ষিক এ সামরিক মহড়াকে কেন্দ্র করে বিভক্ত কোরীয় উপদ্বীপে বরাবরই উত্তেজনা বেড়ে যায়। তার পরও এ বছর উত্তর কোরিয়ার সম্প্রতি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো এবং মালয়েশিয়ায় কিম জং-উনের সৎভাই নিহত হওয়ার পরবর্তী প্রেক্ষাপটে ব্যাপকভাবে তাদের এ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কোরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর মুখপাত্র জানান, এবারের যৌথ এ সামরিক মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ গত বছরের মতোই। মহড়াটি কী রিজলভ অ্যান্ড ফোয়াল ঈগল নামে পরিচিত।
২০১৬ সালের সামরিক মহড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার তিন লাখ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৭ হাজার সৈন্য অংশ নেয়। এর পাশাপাশি মার্কিন নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর জাহাজ ও যুদ্ধবিমান কৌশলগতভাবে অংশ নেয়।
ওই মুখপাত্র জানান, ফোয়াল ঈগল মহড়ার জন্য তিন হাজার ৬শ’ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে তিনি এ মহড়ায় অংশ নেয়া মোট সৈন্যের সংখ্যা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
সিউলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হ্যান মিন-কো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় জোরালো সামরিক মহড়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এদিকে পিয়ংইয়ং এ সামরিক মহড়াকে উস্কানিমূলক হিসেবে উল্লেখ করে এর কঠোর নিন্দা জানিয়েছে।
বুধবার উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ পরিবেশিত কবরে বলা হয়, সামরিক বাহিনীর সদরদফতর পরিদর্শনকালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে তার দেশের সৈন্যদের নজরদারির প্রশংসা করেন।
এ সময় তিনি শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠিন হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিতে সৈন্যদের নির্দেশ দেন।