ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,২৫ ফেব্রুয়ারি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পোশাক শিল্প আজ নিঃসন্দেহে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি। আমাদের রফতানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশই আসে এ খাত থেকে। প্রত্যক্ষভাবে ৪০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে এ খাতে, যার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই নারী। পরোক্ষভাবে প্রায় ৪ কোটিরও বেশি মানুষ এ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল।
আজ শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত ঢাকা অ্যাপারেল সামিট-২০১৭ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
‘Together for a better tomorrow’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তৈরি পোশাক শিল্প প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) উদ্যোগে এ অ্যাপারেল সামিটের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ হবে আত্মমর্যাদাশীল একটি দেশ। জাতির পিতার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছি। এ রূপকল্প অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১৫ শতাংশে নিচে নামিয়ে আনা হবে এবং আমরা হব মধ্যম আয়ের দেশ। আর এটি বাস্তবায়ন করতে হলে প্রয়োজন দেশে ব্যাপক শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ শিল্পে অগ্রিম আয়কর ১.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৭০ শতাংশ করা হয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্পে করপোরেট করের হার ৩৫ ভাগ থেকে কমিয়ে ২০ ভাগ করেছি।
এ ছাড়া মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছি। শ্রমিক-মালিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন, শ্রমিকদের আইনগত অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং শ্রম কল্যাণে বহুবিধ কর্মসূচি যেমন-শ্রমকল্যাণ ফাউন্ডেশন এবং রফতানিমুখী শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য কল্যাণ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি।
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে পোশাকশিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যদিও বিশ্বের পোশাক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এ খাতে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব মাত্র ৫.১ ভাগ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রফতানি পণ্যে আরো বৈচিত্র্য আনতে হবে। একটা বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে হবে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা যা রফতানি করি তাতে বৈচিত্র্য আনতে হবে। ব্যবসাহী মহলকে অনুরোধ করবো পণ্য রফতানি যাতে বাড়ানো যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। যতটা দেশের স্বার্থ রক্ষা করে বিনিয়োগ বৃদ্দি হতে পারে সেদিকে লক্ষ্য করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে এগিয়ে নেয়ার ন্য যা যা দকার তা করছি। দেশে একশটা বিশেষে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছি। পোশাক শিল্পকে নিরপাদ করার জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ত্রুটি পাওয়া কারখানাগুলো বন্ধু করে হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। বিজিএমএর এর পক্ষ থেকে সহযোগতিা বাড়াতে হবে।