ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,১০ ফেব্রুয়ারি : ২০১৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ লড়াই করে জিততে চাই। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্মৃতিচারণে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে নাসিম বলেন, আপনার জার্সি পড়ে আসেন। আপনাদের জার্সি ধানের শীষ, আমাদের নৌকা। দেখি কে জেতে? রেফারি ঠিক হয়ে গেছে। আপনারা দ্রুত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। আমরা মাঠে লড়াই করে আপনাদের পরাজিত করতে চাই। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে নাসিম বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি একক ক্ষমতাবলে এসব করতে পারতেন কিন্তু তা তিনি করেন নাই। তিনি সবার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কিন্তু বিএনপি প্রথমেই এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করলো। পরে অবশ্য জনগণ ক্ষেপে যাওয়ায় তারাও এখানে নাম দিয়েছে।
তিনি বলেন, সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শক্তিশালী করেছেন। বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করেছেন। আমরা ৬টি সিটি কর্পোরেশনে হেরেছি কিন্তু কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বাদ দেয়নি। কিংবা কোথাও ক্ষমতার অপব্যবহার করার চেষ্টা করিনি। শেষ স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও আমরা ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি। তিনি বলেন, বর্তমানে সারাদেশে উন্নতির জোয়ার বইছে। পদ্মা সেতু হলে দক্ষিণ বঙ্গের চেহার পাল্টে যাবে। যেমনভাবে যমুনা সেতু হওয়ার পরে উত্তরবঙ্গের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। স্মরণসভায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত অনুকরণীয় ব্যক্তিত্য ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, দাদার কাছে অনেক শিখেছি। তার বক্তব্য শুনতাম আর তা শিখবার চেষ্টা করতাম। তার মৃত্যুর পর পার্লামেন্ট নিষ্প্রাণ হয়ে গেছে। এতো দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান আর আমি দেখি নাই। বাকি জীবনে দেখবো বলে মনে হয় না। তিনি পার্লামেন্টে এবং পার্লামেন্টের বাইরে সমান জনপ্রিয় ছিলেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ছিল এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো. আকতারুজ্জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক প্রমুখ।