ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,২৯ জানুয়ারি : গত রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকায় উদ্ধার হওয়া সেই নারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম রানী আক্তার (৩৫)।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় তার বড় বোন শাহনাজ বেগম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে তার লাশ সনাক্ত করেন।
শাহনাজ বেগম বলেন, আমরা যতটুকু জানি আমার বোন একটি চাকরি করত গুলশান এলাকায়। প্রতিদিন রাত আটটার সময়ে যেত আর সকাল আটটার দিকে ঘরে আসত। আজকে সে বাসায় না আসায় আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি। পরে একজন সিএনজি চালক বলে গুলশানে আমার বোন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। পরে আমরা এখানে এসে তার লাশ দেখতে পাই।
নিহত রানী আক্তার রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডের কাজীবাড়িতে ভাড়া থাকত। তার শান্ত নামের ১৮ বছরের একটি ছেলে ও নন্দিনী নামের ছয় বছর বয়সী একটি শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে সন্তান রয়েছে। চার বছর আগে তার স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকেই তার ছেলে শান্ত তার বাবা সেলিমের সঙ্গে থাকত। আর মেয়ে নন্দিনী থাকত তার মায়ের সঙ্গে। রানী সিলেটের জাফলং থানার জয়িন্তাপুর আদর্শনগর গ্রামের শাহজাহান মিয়ার মেয়ে।
জানতে চাইলে গুলশান থানার উপপরিদর্শক ফারুক আলম বলেন, গতরাত একটার সময়ে গুলশান ২ এর ৪৩ নম্বর সড়কের কাছে ওই নারীকে আমি আহত অবস্থায় উদ্ধার করি। সে সময়ে আমার মনে হয়েছিল তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাই দ্রুত আমি তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে জানতে পারি তার শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।