ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,২৯ জানুয়ারি : আজ রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৭’। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ শেষ হবে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি।
এবারের শিক্ষা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘শিক্ষার আলো জ্বালাবো, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব।’ এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা দেশের সকল শিশুকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সামগ্রিক শিক্ষার ভিত্তি। তাই শিশুরা যাতে জীবনের শুরুতে সুন্দর পরিবেশে মানসম্মত শিক্ষা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সুষম ও টেকসই উন্নয়নে সুশিক্ষিত ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মমুখী দক্ষ জনশক্তির একান্ত প্রয়োজন।
জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে মানসম্মত ও জীবনমুখী শিক্ষার আলোকধারায় দেশের মানুষকে আলোকিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় মানসম্মত ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ‘সরকার দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ, নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন, সুশিক্ষিত আগামী প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা আনার স্বীকৃতিস্বরূপ আমরা ইউনেস্কো ‘শান্তিবৃক্ষ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছি। সরকার সবার জন্য শিক্ষা (ইএফএ) বাস্তবায়ন করেছে।’
বাণীতে তিনি আরো বলেন, এ বছর ১ জানুয়ারি প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে প্রায় ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি রঙিন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে। একই দিনে প্রথমবারের মতো চাকমা, মারমা, সাদ্রী, গারো ও ত্রিপুরা এই পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ২৪ হাজার ৬৬১ জন শিশুর মাঝে তাদের মাতৃভাষার এবং দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের মাঝে ব্রেইল পদ্ধতির বই বিতরণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্প (৩য় পর্যায়) থেকে ১ কোটি ১৭ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হয়েছে বলেও বাণীতে বলেন তিনি। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৭’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী।