সোনাগাজীতে আসামী ধরতে গিয়ে ৮ পুলিশ আহত

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,ফেনী প্রতিনিধি,২৭ জানুয়ারি : ফেনীর সোনাগাজীতে গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া আসামী ধরতে গিয়ে জনতার পিটুনীতে ৮ পুলিশ সদস্যসহ দশ জন আহত হয়েছে।

আজ বুধবার ভোরে উপজেলার চরছান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর চরছান্দিয়া গ্রামের চট্রগ্রাম সমাজের মাঝি বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, মামলার সন্দেহভাজন আসামী গ্রেফতার করতে মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মামুন রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই বাড়ীতে অভিযান চালায়।

এ সময় বাড়ীর লোকজনকে পুলিশ পরিচয় দেওয়ার পরও তারা ডাকাত ডাকাত চিৎকার করে পুলিশের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

তাদের হামলা ও পিটুনীতে এএস আই দেলোয়ার হোসেন, এএসআই সালাউদ্দিন, এএসআই আরিফ হোসেন ও কনেষ্টবল আবুল হাসেমসহ আট পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত পুলিশ কনষ্টেবল আবুল হাসেমকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে সোনাগাজী হাসপাতাল ও পরে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে জন্য স্থানান্তর করা হয়।

পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে ফকির আহাম্মদ (৭০) ও তার ছেলে জাহিদ(২৫) কে গ্রেফতার করা হয়।

তবে স্থানীয়রা জানায়, পুলিশ যে বাড়িত অভিযান চালিয়েছে সেই বাড়ীতে কোন মামলার আসামী ছিল না। সম্প্রতি এলাকায় কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় এমনিতে ডাকাত আতংক বিরাজ করছে। পুলিশের একজন চিহ্নিত সোর্সের সাথে ওই বাড়ীর জাহিদ প্রকাশ ওরফে মিলিটারী জাহিদের দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে ভুল তথ্যে প্রভাবিত হয়ে পুলিশ জাহিদকে গ্রেফতার করতে যায়। ফলে ডাকাত ভেবে অনভিপ্রেত হামলার ঘটনা ঘটে।

সে সময় পুলিশের বেধড়ক পিটুনীতে আহত রাজিয়া বেগম (৬৫) বলেন, পুলিশ পরিচয়ে কে বা কারা গভীর রাতে দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করে। আমার স্বামী ডাকাত ভেবে দরজা খুলতে দেরী করায় দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তারা। একপর্যায়ে সবাইকে এলোপাথারী পিটাতে থাকে। ঘরের লোকজনের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। বিনা কারণে পুলিশ তার স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে গ্রেফতারকৃত পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে থানায় কোন মামলা বা অভিযোগ নেই বলে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির বিষয়টিকে অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক মন্তব্য করে আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেবার পাশাপাশি সঠিক তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা করছেন বলে নিশ্চিত করেন।