দাউদকান্দির কানড়ায় পুলিশের উপস্থিতিতে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,২১ জানুয়ারি : দাউদকান্দির কানড়ায় আজ ২০ জানুয়ারি শুক্রবার বিকালে পুলিশের উপস্থিতিতে বন্ধ হলো  বাল্যবিবাহ। উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের কানড়া গ্রামের দুবাই প্রবাসী নজরুল ইসলামের কন্যা সোনিয়া আক্তার (১৩)-এর সঙ্গে পাশের উপজেলা মতলব উত্তর কালিপুর গ্রামের শাকিল আহমেদ (৩৫)-এর সঙ্গে বিবাহের দিন ধার্য্য হয় ২০ জানুয়ারি শুক্রবার। এ সংবাদ পেয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বিবাহ বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে তিনি কন্যা ও তার অভিভাবক মা মমতাজ বেগম ও বড় বোনসহ অন্যান্যদের এই মর্মে অঙ্গিকারনামায় স্বাক্ষর নেন যে, মেয়ের বয়স ১৮ পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে না। এর কোন রকম ব্যত্যয় ঘটলে আইনের কাঠগড়ায় তারা দাঁড়াতে বাধ্য থাকবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দাউদকান্দি প্রেস কাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন হাজারী, সিনিয়র সদস্য ওমর ফারুক মিয়াজী, জসিম উদ্দিন জয়, বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ আলাউদ্দিন, মোসাঃ লাইলি আক্তার, সমাজসেবী হারুন অর রশিদ, উপজেলা ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে ও যৌতুক প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক মো. আলী আশরাফ খান, সেতুবন্ধনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপন, মিলি আক্তার, সদস্য মোঃ রাজিবসহ দাউদকান্দি মডেল থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
জানা যায়, শপথ বাক্য পাঠের ৩ দিন পরই এই বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হয় কানড়া গ্রামে। কনে সোনিয়া আক্তার বারপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এবার জেএসসিতে জিপি-এ ৫ পেয়েছে। পড়াশোনা করে বড় হয়ে সে ডাক্তার হতে চায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, ‘মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় এলাকার কাজী বিয়ে রেজিঃ করেননি। পরে গৌরীপুর ইউনিয়নের কাজী দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ৬ লাখ টাকার দেনমোহর ধার্য্য করে বিয়ে রেজিঃ করানো হয়।
এব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা বলেন,‘ আমরা গত মঙ্গলবার বারপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বাল্যবিবাহ-এর কু-ফল সম্পর্কে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করি এবং ছাত্রীদেরকে শপথ বাক্যও পাঠ করাই। অথচ, শপথের ৩দিন পরই সেই বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হয় ওই এলাকায়’। তিনি আরো বলেন,‘এবাল্যবিয়ে ভূঁয়া জন্ম সনদ দিয়ে যে কাজী নিবন্ধন করেছেন তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রশাসন’।