জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন, হারানো, নতুন করে পাওয়া প্রভৃতি বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসার অন্ত নেই নাগরিকদের। আর এ ভাবনা থেকে একটি কল সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সূত্র জানায়, কল সেন্টার স্থাপনের জন্য বৈঠকেও বসেছিল ইসি। রোববার (১৪ আগস্ট) এনআইডি অণুবিভাগের একটি প্রস্তাবনা নিয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ইতিবাচক-নেতিবাচক দিক আলোচনার পর কল সেন্টার স্থাপনের জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি।
জানা যায়, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনআইডি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে আসে। সেখানে তথ্য দেওয়ার জন্য যে ডেস্ক রয়েছে তা এতো মানুষের চাপ নিতে পারে না।
এদিকে ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের কাছেও প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফোন করে অনেকেই নানা তথ্য জানতে চান। কিন্তু এতে সঠিক তথ্য অনেক সময়ই দেওয়া যায় না। তাই নাগরিকদের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এবার কল সেন্টার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
সংস্থাটির এনআইডি অণুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, কল সেন্টার হলে সহজেই মানুষ বাড়িতে বসে প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যাবেন। ফলে যখন সে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য আবেদন জমা দেবেন, তাতে ত্রুটির সংখ্যা কমে যাবে। এতে সেবার মান বাড়বে। এরইমধ্যে বিটিআরসির কাছ থেকে কল সেন্টারের জন্য একটি শর্টকোড নেওয়া হয়েছে। যার নম্বর ১৬১০৩।
ইসির উপ-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, এনআইডি থেকে যে প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে মোবাইল অপারেটরের কল সেন্টারের মতো প্রক্রিয়া উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট নম্বর দেওয়া হবে। যেখানে কল করলেই সেবাগ্রহীতাকে বাংলা বা ইংরেজি ভাষা বাছাই করার জন্য তার মোবাইলের কি-প্যাডের নির্দিষ্ট একটি সংখ্যা চাপতে বলা হবে। এরপর সে ভাষা বাছাইয়ের পর কোন সেবা নিতে চান তার জন্য আলাদা আলাদা সংখ্যা চেপে তথ্য পেতে হবে। এছাড়া থাকবে সরাসরি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগও। এজন্য মোবাইল অপারেটরগুলোর প্রচলিত হারেই কলচার্জ প্রযোজ্য হবে।
তবে ইসি কর্মকর্তারা মনে করছেন, এতে নাগরিককে বেশি সময় ধরে মোবাইলে অর্থ ব্যয় করতে হবে। এর চেয়ে সরাসরি কল করার ব্যবস্থা থাকলে ভালো। এতে সেবাগ্রহীতাদের অর্থ ব্যয় যেমন কমবে, তেমনি তথ্যপ্রাপ্তিও হবে সহজ।
এ বিষয়ে ইসির উপ-সচিব পর্যায়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে বলেন, কল সেন্টারে অবশ্যই আমাদের কর্মকর্তাদের সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। এজন্য আউটসোর্সিং সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারে। অন্যথায় দক্ষ লোকবলের সমস্যায় পড়তে হবে।