ঢাকা: আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে নেমেছেন ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন এবং রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে প্রচারণা চালানোর সময় হিলারি ক্লিনটনকে হেয় করে আক্রমণাত্মক ভাষায় কথা বলে সমর্থকদের উজ্জ্বীবিত রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন ট্রাম্প।
দেশটির আইওয়া অঙ্গরাজ্যে শুক্রবার (০৫ আগস্ট) এক নির্বাচনী প্রচারণার র্যালিতে অংশ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন ‘হিলারি ক্লিনটন দুর্নীতির রানি। তিনি যদি দেশের প্রেসিডেন্ট হন, তবে দেশ ধ্বংস করে ফেলবেন।’
ট্রাম্প বলেন, আমরা এখন দুর্নীতির রানিকে হিলারিকে নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি। তিনি প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদে পরিণত হবে, দেশ সমস্যার মধ্যে পতিত হবে। মুহূর্তের মধ্যে দেশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে।
‘হিলারি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, ভারসাম্যহীন’ বলেও মন্তব্য করেন মুসলিম বিদ্বেষী ও বিতর্কিত এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
এর আগে একই দিন উইসকনসিন রাজ্যে হিলারি ক্লিনটনকে ‘দৈত্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘একদিক দিয়ে হিলারি ক্লিনটন দৈত্য। অপরদিক থেকে তিনি একজন দুর্বল মানুষ।’
হিলারি ক্লিনটনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা নেই বলে ঘোষণা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘হিলারি ক্লিনটন একটি দুর্যোগ। তিনি আমাদের দেশের জন্য ক্ষতিকর। আমরা সেই ক্ষতি হতে দিতে পারি না।’
এর আগে হিলারিকে ‘ডাইনি’ উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
ডেমোক্র্যাটিক দলের ন্যাশনাল কনভেনশনের পরপরই মার্কিন নাগরিকদের জনমতের পাল্লা হিলারির দিকে ব্যাপকভাবে ঝুঁকে যায়। ওই কনভেনশনে ডেমোক্র্যাটিক শিবির অত্যন্ত সুচারুভাবে ট্রাম্পকে বিদ্ধ করেন। মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্যসহ নির্বাচনী প্রচারণার বিভিন্ন পর্যায়ে ট্রাম্পের করার বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্যকেই এ সময় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে ডেমোক্রেটিক শিবির। ফলে হু-হু করে কমতে থাকে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার পারদ। এই মুহূর্তে তাই অনেকটা বেসামাল ট্রাম্প। পরিস্থিতি উত্তরণে শেষ পর্যন্ত হিলারিকেই আক্রমণের রাস্তা বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প।