ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আইন আদালত প্রতিনিধি,শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ || ফাল্গুন ৮ ১৪৩১ :
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাট থেকে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে ট্রলারে উঠে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ (২২)। এ ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার তিন আসামিকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন: মো. জামাল মোল্লা (২৩), ইয়ামিন মুন্সী (১৯) এবং জব্বার শেখকে (১৮)।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার জানান, বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে পদ্মা সেতু সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী গৃহবধূ তার স্বামীসহ পদ্মা সেতু উত্তর থানায় চার যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ঘটনার সত্যতা যাচাই করে মামলা দায়ের করে। পরদিন সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পদ্মা নদীর পাড় থেকে অভিযুক্ত জামাল মোল্লাকে গেফতার করা হয়। তার দেয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন ও জব্বারও ধরা পড়ে পুলিশের হাতে।
Advertisement
পদ্মা উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে আসামিরা জানান যে ৬ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী গৃহবধূ পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাটে তার স্বামীর বাড়ি উত্তর চর জানাজাত এলাকায় যেতে ঘাটে নৌকার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তখন বিকেল ৪টা। উত্তর চর জানাজাত এলাকাটিতে যাওয়ার রাস্তা না থাকায় এই পথেই সহজ যাতায়ত। কিন্তু খেয়া নৌকা ছিল না। এ সময় অভিযুক্ত আবু বকর সিদ্দিক ও জামাল মোল্লা ভুক্তভোগীকে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ট্রলারে উঠান। পথিমধ্যে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন এবং জব্বার ট্রলারে ওঠে। নদীতে সময় ক্ষেপণ করেন তারা। পরে সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে নদী পথে জনমানবহীন পদ্মা নদীর ডোমরাখালী চরে নিয়ে যান। নৌকায় থাকা একটি জিউবেক ও নারীর ওড়না বিছিয়ে সেখানে চারজন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। পরে ওই নারী কান্নাকাটি করে বাঁচার জন্য নানা কৌশল করে ধর্ষকদের আশ্বস্ত করতেন যে এ ঘটনা কাউকে জানাবেন না। এরপর আবার জেলে ট্রলারটিতে করে অভিযুক্তরা মাওয়া পুরাতন কোস্টগার্ড স্টেশনের পাশে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ট্রলার থেকে ভুক্তভোগীকে নামিয়ে নামিয়ে দেন। সেখান থেকে এই নারী সেফ জোনে গিয়ে ঘটনা তার স্বামীকে জানান। পরদিন স্বামীসহ থানায় আসেন।
Advertisement
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় ব্যবহৃত ট্রলার এবং আলামত হিসেবে একটি জিও ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং তার ব্যবহৃত জামাকাপড় জব্দ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম ও পলাতক বাকি আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সংগৃহীত ছবি