ছবিটি প্রতীকী
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি ,রোববার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ || মাঘ ১৯ ১৪৩১ :
শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে কুকুরের তাড়া খেয়ে ক্ষোভে এক ভ্যানচালককে নিজের খাস কামড়ায় ডেকে হাত বেঁধে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে রাজবাড়ীর এক নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন হোসেনের বিরুদ্ধে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন হোসেনের বিরুদ্ধে সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজবাড়ী সদর থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন ভ্যানচালক আফজাল খাঁর (৩০)। তবে থানার ওসি বলেন, এ ঘটনায় কোন এজাহার পাননি তিনি।
এ ঘটনায় আমি কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। এর বাইরে আমি আর কিছু বলতে পারব না।
এ ধরনের একটি ঘটনা আমি শুনেছি। তবে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে কি না তা বলতে পারছি না। বিষয়টি আমি একটু খোঁজ নিয়ে দেখছি।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আমি ও আমার মেঝ ভাই মো. সাহেব আলী খান জেলা ও দায়রা জজ আদালত বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় তার চেম্বারে গেলে, তিনি আমাকে ওই কুকুরের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আমি তাকে বলি, কুকুরটি আমার না এবং কুকুরটি কার তাও আমি জানি না। তখন তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এরপর তার সেরেস্তায় থাকা একটি দড়ি দিয়ে আমার হাত পিঠমোড়া করে বাঁধেন। আমাকে একটি চেয়ারের ওপর হামু দিতে বলেন। আমি তার কথা মতো চেয়ারের উপরে হামু দিলে, তিনি একটি কাঠের রুল দিয়ে আমার পশ্চাৎদেশসহ পিঠে আনুমানিক ৩০টি আঘাত করেন। এতে আমার শরীরে রক্তজমাট ও জখম হয়। তখন সুমন হোসেন বলেন যে, ওই কুকুরটি যদি এলাকায় আবার দেখা যায় এবং আমি যদি এই বিষয় নিয়ে কাউকে জানাই, তবে তিনি আমার নামে মামলা দিয়ে আমাকে জেল খাটাবেন। পরে আমার ভাই আমাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজবাড়ী সদর থানার এসআই আসাদ আমার ভাই আফজালকে খুঁজতে আমাদের বাড়িতে যান। তবে সেসময় আফজাল বাড়িতে ছিল না। শনিবার সকালে আমি আমার ভাইকে সাথে নিয়ে থানায় এসআই আসাদের কাছে গিয়ে আমার ভাইকে খোঁজার বিষয়ে জানতে চাই। তখন এসআই আসাদ বলেন ম্যাজিস্ট্রেট সুমন স্যার তাকে পাঠিয়েছিলেন। এসময় এসআই আসাদ ম্যাজিস্ট্রেট সুমন স্যারকে ফোন করলে তিনি বিকেলে আমাদের জেলা ও দায়রা জজ আদালত বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় তার খাস কামড়ায় যেতে বলেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আমরা সেখানে যাওয়ার পর তিনি আফজালকে তার কক্ষে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে মারপিট করেন। আমি তখন বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। প্রায় দুই ঘণ্টা পর আমার ভাই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে বাইরে বের হয়ে, আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করে। এসময় আমি আমার ভাইকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেই। তখন থানা থেকে আমাদের ফোন করা হলে, আমরা থানায় গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট সুমন হোসেনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করি। পরে আমার ভাইকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার আমি মোটরসাইকেল নিয়ে আমার শ্বশুরবাড়ি যাই। মোটরসাইকেলে আমার স্ত্রীও ছিল। হঠাৎ একটি কুকুর আমাদের তাড়া করে। এতে আমরা অনেক ভয় পেয়ে দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পাই।
Advertisement