ঢাকা: কোচিং পেশায় ফিরতে মরিয়া দিয়েগো ম্যারাডোনা। কোনো পারিশ্রমিক ছাড়াই দ্বিতীয় মেয়াদে আর্জেন্টিনার দায়িত্ব নিতে রাজি ৮৬’র বিশ্বকাপ জয়ী। খেলোয়াড়দের কোচিং করানোর মুহূর্ত ও সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘বিবাদে’ জড়ানোটা নাকি বড্ড মিস করছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর।
এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১০ এ সময়ে আর্জেন্টিনার কোচের ভূমিকায় ছিলেন ৫৫ বছর বয়সী ম্যারাডোনা। ২০১০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে হারের মধ্য দিয়ে যার ইতি ঘটে। পরের বছর দুবাইয়ের আল ওয়াসল ক্লাবের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১২ সালের জুলাইয়ে বরখাস্ত হওয়ার পর থেকেই কোচিং পেশার বাইরে ‘সর্বকালের সেরা’।
সে যাই হোক, জেরার্ডো মার্টিনোর পদত্যাগের পর নতুন যোগ্য কোচের সন্ধানে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। গত মাসে চিলির বিপক্ষে শতবর্ষী কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের পর সরে দাঁড়ান মার্টিনো। শুধু তাই নয়, টানা তিন বছরে তিনটি ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গের হতাশায় আন্তর্জাতিক ফুটবলকেই বিদায় বলে দেন লিওনেল মেসি। সবার প্রত্যাশা, সিদ্ধান্ত বদলে ঠিকই ফিরে আসবেন বার্সেলোনা তারকা।
সেক্ষেত্রে দ্বিতীয়বারের মতো মেসি-ম্যারাডোনা যুগলবন্দী দেখবে ফুটবল বিশ্ব। যদি কোচের পদটা পেয়ে যান ম্যারাডোনা।
আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ম্যারাডোনা আশাবাদী, তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে কোচের চাকরির জন্য তাকে মূল্যায়ন করা হবে। দেশের ফুটবল কিংবদন্তির ডাকে এএফএ সাড়া দেবে কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়!
‘ফক্স স্পোর্টস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনা বলেন, ‘দিয়েগো সিমিওন আর্থিক কারণে কোচের চাকরি নিতে আগ্রহী ছিল না। অর্থ আমার কাছে কোনো ইস্যু নয়। আমি বিনা পারিশ্রমিকে ন্যাশনাল টিমকে কোচিং করাতে রাজি।’
‘অনেক মানুষই মনে করে আমি ব্যয়বহুল কোচ। কিন্তু মরিনহোর ক্ষেত্রে কী? এবং আনচেলত্তি অথবা সিমিওন? আমি জানি না তাদের সঙ্গে তুলনায় আমি কতটা দামি। কোচিংয়ের সময়টা খুব বেশি মিস করছি। খেলোয়াড়দের কাজের মুহূর্ত এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে ফাইটিং মিস করছি।’-যোগ করেন ম্যারাডোনা।
প্রসঙ্গত, মার্টিনো পদত্যাগ করায় আসন্ন রিও অলিম্পিকে (৪ আগস্ট শুরু) আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্বে থাকবেন সাবেক ডিফেন্ডার হুলিও জর্জ ওলার্তিকোয়েচিয়া। যিনি আলবিসেলেস্তেদের ১৯৮২, ১৯৮৬ ও ১৯৯০ বিশ্বকাপ দলে ছিলেন।