ঢাকা: আগামী ১৩ আগস্ট নির্মাণাধীন পায়রা সমুদ্র বন্দরে প্রথম জাহাজ আসবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে বুড়িগঙ্গা নদীতে মের্সাস রাবেয়া শিপিং কোম্পানির নতুন লঞ্চ এমভি পারাবাত-১২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, পদ্মাসেতুতে যে পাথর ব্যবহৃত হবে সেই পাথর বোঝাই জাহাজ পায়রা বন্দরে ভিড়বে। ১৩ আগস্ট একটি মাদার ভেসেল পায়রায় আসবে। লাইটারিং করে সেটা খালাস করা হবে। এছাড়া আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরো চারটি জাহাজ পায়রা বন্দরে আসবে।
নৌমন্ত্রী বলেন, পায়রা হবে চট্টগ্রামের পাশাপাশি আরেকটি সমুদ্র বন্দর। এখানে বড় বড় জাহাজ আসার সুযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে জেটিতে জাহাজ চলে আসবে। সরকারি দুইটি যাত্রীবাহী জাহাজ নির্মাণ করা হয়েছে। বরিশাল থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য আরও দুইটি উপকূলীয় জাহাজের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
এবার ঈদে ছোট দু’টি দুর্ঘটনা ছাড়া গত ৭ মাসে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি উল্লেখ করে ‘২০১৬ সালকে একটি দুর্ঘটনা মুক্ত বছর হিসেবে দেখতে চাই’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, নদী খননের জন্য গত মেয়াদে ১৪টি ড্রেজারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। দু’তিন মাসের মধ্যে আরো ১০টি’র নির্মাণ কাজ শেষ হবে। আগামী বছর আরো ১০টি হবে। প্রায় একশ’র বেশি ড্রেজার নির্মাণ করা হবে। প্রত্যেকটি নদী যাতে খনন করা যায় এবং নির্বিঘ্নে নৌ চলাচল করতে পারে সে দিকে আমরা নজর দিচ্ছি।
নদী বন্দর উন্নয়ন, নদী খননের জন্য বিশ্বব্যাংক থেকে ৩ হাজার ২শ’ কোটি টাকার ঋণ পেয়েছি। আশুলিয়া থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৯শ’ কিলোমিটার নৌ পথ খনন করা হবে।
লঞ্চ-মালিকদের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, বড় লঞ্চ নির্মাণ করেন কোন সমস্যা নেই। নির্মাণ করার সময় ডিজাইনের দিকে খেয়াল রাখবেন, যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
অনুষ্ঠানে মেসার্স রাবেয়া শিপিং কোম্পানির চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নৌ-পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর এম জাকিউর রহমান ভুঁইয়া, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ও যাত্রী পরিবহন সংস্থা’র চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।