আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার   ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ||  মাঘ ১৬ ১৪৩১:

ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীর।

Advertisement

 

মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

এসময় তারা ‘দিয়েছি তো রক্ত- আরো দেব রক্ত’, ‘খুনি লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘বিচার চাই বিচার চাই, খুনি হাসিনার বিচার চাই’ এমন নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশে মুহসিন হলের শিক্ষার্থী নোমান বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এই সরকারের কাজ ছিল খুনিদের বিচার কার্যক্রম করা। কিন্ত তারা তা করে নাই। এখন আবার আওয়ামী লীগ রাজপথে কর্মসূচি দিয়েছে। দ্রুত এই সরকার যেন গণআদালতে তাদের বিচার কার্যকর করে সেই আহ্বান জানাই।”

 

সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী আজিজুল ইসলাম বলেন, “জুলাই বিপ্লবে আমার ২ হাজারেরও অধিক ভাই-বোনদের রক্ত ঝরেছে। তার দাগ এখনো শুকায় নাই। এরপরও তারা কীভাবে বাংলাদেশে কর্মসূচি দেয় তা অবাক করার বিষয়।”

 

এ এফ আর হলের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান আল ফাহাদ বলেন, “সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ আমার ভাই-বোনদের নির্যাতন করে ক্যাম্পাস ছাড়া করেছিল তারা আবার আগুন সন্ত্রাসের খেলা করার জন্য প্রকাশ্য দিবালোকে কর্মসূচি দিয়েছে। অনতিবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।”

এ সময় তিনি আওয়ামী লীগকে জুলাই গণহত্যার দায়ে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি তোলেন।

Advertisement

গত ২৮ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

 

মোট ১০টি দাবিতে আগামী ১ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হরতাল অবরোধসহ ৫ ধরনের কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

তাদের কর্মসূচিগুলো হলো—১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি, ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ, ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ, ১৬ ফেব্রুয়ারি অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক কঠোর হরতাল।

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলা প্রত্যাহার এবং ‘প্রহসনমূলক বিচার’ বন্ধেরও দাবি জানানো হয়।

দলের পক্ষ থেকে এর আগে গত ১০ নভেম্বর রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েও নামতে পারেনি আওয়ামী লীগ।

 

এমন অবস্থার মধ্যেই মঙ্গল হরতাল, অবরোধ, সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিলো আওয়ামী লীগ।

Advertisement

যদিও ৫ অগাস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের কোথাও দলটির সক্রিয় কোন কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। দলটির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই দেশের বাইরে, পলাতক অথবা কারাগারে রয়েছেন। গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই রয়েছেন।

ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘোষণার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীর