শিল্পা পান্ডে, ছবি: সংগৃহীত
Advertisement
গতকাল রোববার (২৬ জানুয়ারি) স্থানীয় পুলিশ পূর্ব দিল্লির গাজিপুরের একটি নির্জন এলাকায় সুটকেট পড়ে থাকার খবর পায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এর মধ্য থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করে। কিন্তু মরদেহটি ছিল পুরোপুরি আগুনে পোড়া। পরবর্তীতে পুলিশ এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করে এবং কারণ খুঁজতে একাধিকবার ওই এলাকায় যায়।
পূর্ব দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক ধনিয়া মিডিয়াকে বলেন, এ ঘটনার কোনো ক্লু আমাদের কাছে ছিল না। আমাদের কাছে শুধু একটি সুটকেস এবং একটি পুড়ে যাওয়া মরদেহ ছিল। পরে ওই এলাকার আশেপাশের সিসিটিভির ফুটেজ তদন্ত করা হয়।
পুলিশ অফিসার আরও জানান, তারা হুন্দাই ভার্না একটি গাড়ির ওপর নজর দেয়। কারণ সুটকেসে মরদেহটি পাওয়ার পর সিসিটিভির ফুটেজে ওই এলাকা থেকে গাড়িটিকে চলে যেতে দেখা যায়। পরবর্তীতে পুলিশ গাড়িটির রেজিস্টার নম্বরে যোগাযোগ করে লোনি নামের এক বাসিন্দার খবর পায়। কিন্তু সে পুলিশকে জানায় গাড়িটি অমিত তাইরি নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়েছে।
Advertisement
পুলিশ ২২ বছর বয়সী অমিত তাইরিকে খুঁজে বের করে এবং তাকে জেল হাজতে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে ওই মরদেহটি ২২ বছর বয়সী তার চাচাতো বোন শিল্পা পান্ডের। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, গত এক বছর তারা একসঙ্গে থেকেছেন। কিন্তু শিল্পা তাকে বিয়ে করতে চাওয়ায় সে রাজি হয়নি।
পরবর্তীতে গত শনিবার রাতে অমিত মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ফিরে এবং শিল্পার সঙ্গে ঝগড়া হলে সে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মরদেহ ফেলে দেয়ার জন্য গাড়ি চালক ও বন্ধু অনুজ কুমারকে আনা হয়। তাকে সঙ্গে নিয়ে মরদেহ সুটকেটে ভরে ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় অনুজকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
পুলিশ জানিয়েছে, শিল্পার মরদেহটি উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও ফেলে দেয়ার পরিকল্পনার ছিল অমিতের। কিন্তু ওই এলাকায় যেতে হলে পুলিশের দুটি চেকপয়েন্ট পার হতে হবে। এজন্য তারা মরদহটিকে কাছের কোথাও ফেলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর নির্জন এলাকায় গিয়ে পেট্রোল পাম্প থেকে ১৬০ রুপির পেট্রোর কিনে সুটকেস ভর্তি লাশে আগুন ধরিয়ে দেয়। গ্রেপ্তার আগে অমিত উত্তরপ্রদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।