১৫ মাসে ইসরায়েলের নৃশংস হামলার ফলে গাজা স্ট্রিপের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। ছবি: সংগৃহীত
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ইসলাম প্রতিনিধি,সোমবার ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ || মাঘ ১৩ ১৪৩১ :
ইন্দোনেশিয়ার মসজিদ কাউন্সিল (ডিএমআই) ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ১০টি আধা-স্থায়ী মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
Advertisement
ডিএমআইর সভাপতি ইউসেফ কালা এক বিবৃতিতে বলেন, বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ১০টি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগটি দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ফিলিস্তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশের একটি উপায়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, গাজার শরণার্থী শিবিরে নির্মিত কিছু মসজিদ আসন্ন রমজান থেকেই উদ্বোধন করা হবে। এ লক্ষ্যে হামাসের প্রতিনিধিদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ চালাচ্ছেন তিনি। যাতে কর্মসূচির সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা যায়।
কাউন্সিলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ও এটি স্থায়ী শান্তির জন্য নতুন আশার বাতি জ্বালতে সক্ষম হবে। গত ১৫ মাসে ইসরায়েলের নৃশংস হামলার ফলে গাজা উপত্যকার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংসের পাশাপাশি অনেক মসজিদ ও গীর্জাসহ উপাসনালয় মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
Advertisement
ফিলিস্তিনি এনডোমেন্টস মন্ত্রী হাতেম আল-বাকরি জানিয়েছেন, ১৯৪৮ সাল থেকে, আমরা প্রতিদিন ফিলিস্তিনে দখলদার শাসকদের অত্যাচারের সাক্ষী। তিনি আরও উল্লেখ করেন, গাজা উপত্যকায় পশ্চিম তীরে ৬০% মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৮৮০টিরও বেশি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, মসজিদে হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। অথচ গাজায় ২০০টিরও বেশি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৮৮০টিরও বেশি মসজিদ ও তিনটি গির্জা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। যার মধ্যে ১০০০ বছরেরও বেশি পুরনো মসজিদও আছে। এমন পরিস্থিতিতে, ইন্দোনেশিয়ার এ উদ্যোগ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন ও সহানুভূতির একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।