স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মাদারীপুরে বিক্ষোভ

SHARE

মাদারীপুরে হাফিজা আক্তার হত্যা বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করছে পরিবার ও এলাকাবাসী। ছবি:ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি)

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),মাদারীপুর প্রতিনিধি,মঙ্গলবার   ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ||  মাঘ ৭ ১৪৩১ :

মাদারীপুরে হাফিজা আক্তার (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে পরিবার, সহপাঠী ও এলাকাবাসী।

Advertisement

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে শিবচর উপজেলার বাবলাতলা বাজারে এক মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানায়। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এ সময় হাফিজার হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন বিক্ষুব্ধরা।


স্বজনরা জানায়, দেড় বছর আগে শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের বাবলাতলা এলাকার চাঁনমিয়া মোল্লার মেয়ে ও বাবলাতলা জুনিয়র স্কুলের ৭ম শ্রেণির স্কুলছাত্রী হাফিজা আক্তারের (১৫) সঙ্গে প্রেম হয় প্রতিবেশী আবুল কালাম সরদারের বড় ছেলে পিয়ার সরদারের (১৯)। দুজনের শারীরিক সম্পর্ক হলে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে পিয়ার বিয়ের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীকে গর্ভপাতও করানো হয়। এরপর পিয়ার শুরু করে টালবাহানা। বিষয়টি নিয়ে পিয়ারের পরিবারকে জানালে ৭ম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়।

Advertisement

পরে বেশ কয়েকবার মেয়েটির পরিবার বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালায়। শেষমেশ ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে প্রতিবেশী রফি সুন্সির বাড়ির উঠানে আয়োজন করা হয় সালিশ বৈঠকের।

বৈঠকে দত্তপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোতাহার হোসেন, স্থানীয় মাদবর উজ্জ্বল খান, তাজেল মাদবর, জাহাঙ্গীর খাঁসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। অভিযুক্ত পিয়ার বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার কারণে ঘটনা অন্যখাতে নিতে মেয়েটির সঙ্গে পিয়ারের ছোটভাই আলীর বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সালিশকারীরা। বিয়ে না হলে অভিযুক্তকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শুরু হয় হট্টোগোল। পরে সেখান থেকে চলে যান সালিশকারীরা। এই ঘটনার অপমানে ও ধর্ষণের ন্যায় বিচার না পাওয়ায় ২রা জানুয়ারি সন্ধ্যায় গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে হাফিজা। এই ঘটনায় নিহতের বড়ভাই নাসির মোল্লা বাদী হয়ে শিবচর থানায় প্রধান সালিশিকারী ইউপি সদস্য ও অভিযুক্ত পিয়ারসহ ১১ জনের নামে মামলা করেন। এই মামলায় এখনও কাউকেই গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ।

Advertisement


মাদারীপুরের শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ বলেন, আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।