মাজহারুল ইসলাম,ক্রাইম রিপোর্টার
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),প্রধান সম্পাদক,মোঃ : ইসমাইল হোসেন,রোববার ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ || মাঘ ৫ ১৪৩১ :
আহত সাংবাদিকদের নাম মাজহারুল ইসলাম৷ সে ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.(টিভি) এর ক্রাইম রিপোর্টার৷ ঘটনাটি ঘটেছে হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর বাজারে৷ সন্ধ্যার পর মাজহারুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাকে ফোন করে ঘটনার বিস্তারিত খবর জানায়৷
Advertisement
প্রায় দশ বছর আগে রামকৃষ্ণপুর বাজারে তাহার জায়গাটি বাহারুল মিয়া বাৎসরিক ৫ হাজার টাকা করে ভাড়া দেওয়া হয়৷ এই সময়টুকুতে আমি আমার বাড়ির প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে তাহার কাছ থেকে মালামাল নেই৷ কিন্তু দেশ বছর যাবৎ সে আমাকে নগদ কোনো টাকা দেয়নি ৷ এই নিয়ে গত ৩ বছর যাবৎ তাহার সাথে আমার তর্কবিতর্ক হয়৷ প্রায় মাসছয়েক আগে আমি বাহারুলকে আমার যায়গা খালি করার জন্য বলি৷ গতকাল শনিবার আনুমানিক সময় ১২ টার দিকে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় ভাড়াটিয়া বাহারুলকে বলি আমার যায়গা এখনই খালি করে দিন৷ কারণ আমি অন্যজনের কাছে ভাড়া দিয়ে দিয়েছি৷ বাহারুল তাৎক্ষণিকভাবে আমাকে শার্টের কলার চেপে ধরে তার কর্মচারীকে বলে আমাকে লাঠি মাথাটা ফাটিয়ে দে৷ কর্মচারী তাৎক্ষণিক লাঠি দিয়ে আঘাত করতে আসলে আমি বাঁচতে গিয়ে বাহারুলকে পাল্টা আঘাত করতে বাধ্য হই৷
Advertisement
মুহুর্তের মধ্যেই পার্শ্ববর্তী দোকানদার আওয়ামী লীগ নেতা মোশাররফ আমাকে ধরে ফেলে৷ মোশাররফের দোকানে বসা ছগির ও রিকশা চালক মহিউদ্দিন আমাকে এলোপাতাড়ি কি কিল,ঘুস,লাথি মারতে থাকে এবং মোশাররফ ফোনে তার দলীয় নেতাকর্মীদের লাটিবান্দা নিয়ে আসতে বলে৷ এসময় প্রচুর লোকজন জমে যায়৷ কিন্তু তাদের ভয়ে কেউ আমাকে বাঁচতে এগিয়ে আসার সাহস পায়নি৷ আমি দৌড়ে বাড়িতে যেতে চাইলে ছগির ও তার স্ত্রী ডলি দুজনেই শক্ত কাঠ দিয়ে পিঠে আঘাত করলে আমি পরে যাই এবং উপর্যুপরি সারা শরীরে আঘাত করতে থাকে৷ অনেক চেষ্টা করে আমি বাড়িতে চলে যাই৷ এরপর আমাকে আলম ভাই আমাকে ফোন বাজারে আসতে বললে আমি বাজারে আসি৷ এসে দেখি যুবলীগের সভাপতি রায়হান, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজ, আওয়ামী নেতা রাকিব ও তামজিদসহ একদেড়শ আওয়ামী লীগের লোকজন আমাকে মারতে আসে এবং প্রথমেই আমাকে তামজিদ, আফরোজ, রাকিব মারতে থাকে এবং একপর্যায়ে আমি মাটিতে লুটিয়ে পরি৷ সেখান থেকে আমাকে আমার ভাই এবং আলম ভাই হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷