ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),পঞ্চগড় সদর প্রতিনিধি, শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ || পৌষ ১২ ১৪৩১ :
ঘটনাটি গত মঙ্গলবারের (২৫ ডিসেম্বর)। পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের শিংরোড খুনিয়া পাড়া দারুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসা আয়োজন করেছিলো মাহফিলটির।
Advertisement
এদিকে, বক্তা না আসার পেছনে প্রতারণা রয়েছে দাবি করে আয়োজকদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন ইকবাল বাহার নামে পঞ্চগড়ের এক সংবাদকর্মী।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) পঞ্চগড় জজ কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান মিলনের মাধ্যমে তিনি লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান।
এতে অভিযুক্ত করা হয়- মাদ্রাসাটির সভাপতি আব্বাস আলী, মুহতামিম মিজানুর রহমান, পরিচালক আলতাফর হোসেন এবং মাহফিলের সভাপতি নুর হাবিবকে।
লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘মাহফিলের আয়োজক কমিটি দেশের জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত রাখার জন্য প্রচার-প্রচারণা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর নাম ব্যবহার করে জেলার বিভিন্ন স্থানে ধর্মপ্রাণ মানুষের নিকট হইতে তাফসিরুল কুরআন মাহফিল সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে টাকা আদায় করেন। যথারীতি ২৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) শিংরোড খুনিয়া পাড়া দারুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে তাফসিরুল কুরআন মাহফিল শুরু হলে পঞ্চগড় জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ধর্মপ্রাণ লোকজন মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর বক্তব্য শুনার জন্য মাদ্রাসা মাঠে হাজির হন। রাত ১১ টা পর্যন্ত অন্যান্য আলোচকরা আলোচনা করেন, কিন্তু তখনও ভাইরাল বক্তা মাওলানা মাদানী উপস্থিত না হলে ক্ষুব্ধ হন শ্রোতারা। এক পর্যায়ে আয়োজকরা জানান, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারবেন না। তিনি অনুষ্ঠানে আসার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।’
Advertisement
আয়োজকরা ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে ধর্মীয় অনুভতি জাগ্রত করে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর নাম ব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করেছেন এবং ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে আঘাত হেনেছেন।
সংবাদকর্মী ইকবাল বাহার বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানী আলোচনা করবেন শুনে শীত উপেক্ষা করে ২৫ কিলোমিটার দুর থেকে গিয়েছিলাম। কিন্তু গিয়ে প্রতারিত হয়েছি। আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি মাহফিলের আয়োজকরা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে তাদের মাহফিলে দাওয়াতই করেননি। তার নাম ব্যবহার করে যে আয়োজন করা হয়েছে তা বক্তা জানেনও না। সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টিও সম্পূর্ণ সাজানো। মাহফিলের আয়োজকদের মিথ্যা প্রচারণায় সেখানে গিয়ে আমরা প্রতারিত হয়েছি। ধর্মীয় বিষয়ে এমন প্রতারণা ভবিষ্যতে যেন কেউ না করতে পারে, এজন্য আমি তাদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি।
আইনজীবী মেহেদী হাসান মিলন বলেন, মাহফিল কমিটি অপরাধ মূলক বিশ্বাস ভঙ্গসহ প্রতারণা করেছে। তারা কেনো এমনটা করলো- লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে এর সদুত্তর আগামী তিনদিনের মধ্যে চেয়েছি।