ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আইন আদালত প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ || পৌষ ৪ ১৪৩১ :
ঢাকার কেরাণীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে হানা দেওয়া তিন ডাকাত এখন পুলিশের হেফাজতে। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে তাদের ছবি।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, তিনজনের মুখ কালো কাপড় দিয়ে মোড়ানো রয়েছে। তাদের চেয়ারে বসানো হয়েছে।
Advertisement
ফুটেজে আরও দেখা যাচ্ছে, থানার পুলিশ কর্মকর্তা তিন ডাকাতের সঙ্গে কথা বলছেন। তাদের মধ্যে একজনকে কথা বলতে দেখা গেছে।
এই ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী, এই দৃশ্য কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার ভেতরের। সেখানে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদকে ওসির চেয়ারে দেখা যায়। তিন ডাকাতকে প্রশ্ন করছিলেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আত্মসমর্পণ করে এই তিন ডাকাত। তারপর জিম্মিদশা থেকে অক্ষত অবস্থায় মুক্ত হন ব্যাংকটির ওই শাখার গ্রাহক-কর্মীরা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ রাইজিংবিডিকে বলেন, “আত্মসমর্পণ করা ৩ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদের মধ্যে ২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। আর একজনের বয়স ২২ বছর।”
আহম্মদ মুঈদ আরো বলেন, “ডাকাতরা কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে বা কী কারণে, কেন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়েছে, তা নিয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।”
র্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বলেন, “রূপালী ব্যাংকে ঢুকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা তিন ডাকাত ৩টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তাদেরকে কেরাণীগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
Advertisement
এর আগে দুপুরে কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে পড়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের তিন সদস্য। সেখানে তারা গ্রাহক-কর্মকর্তাসহ ১৬ জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। বিষয়টি জানতে পেরে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংক ভবন ঘিরে ফেলে। এ সময় বিপুলসংখ্যক মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে নিজেদের ‘সেফ এক্সিট’ দাবি করে ডাকাত দল। পরে আলোচনার মাধ্যমে যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে তারা।