ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি, রোববার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ || অগ্রহায়ণ ২৩ ১৪৩১ :
প্রায় বিনা বাধায় বিদ্রোহী যোদ্ধারা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ঢুকে পড়ার পর বিমানে করে শহরটি ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আর আসাদ। এর আগে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রবেশের দাবি করে বিদ্রোহীরা।
Advertisement
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ রোববার দামেস্ক থেকে একটি অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে উড়ে গেছেন। দুই সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, বিদ্রোহীরা রাজধানীতে প্রবেশের সময় তারা কোনো সেনা সদস্য দেখেনি।
এদিন হাজার হাজার মানুষ গাড়িতে এবং পায়ে হেঁটে দামেস্কের একটি প্রধান চত্বরে জড়ো হয়ে “স্বাধীনতার” স্লোগান দিচ্ছিল। বিদ্রোহীরা বলেছে, “আমরা সিরিয়ার জনগণের সাথে আমাদের বন্দীদের মুক্ত করার এবং তাদের শিকল মুক্ত করার এবং সেদনায়া কারাগারে অন্যায়ের যুগের সমাপ্তি ঘোষণা করার খবর উদযাপন করছি।”
Advertisement
ফ্লাইটরাডার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, রাজধানীকে বিদ্রোহীরা দখল করে নেয়ার খবর পাওয়া যাওয়ার সময় সিরিয়ান এয়ারের একটি বিমান দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছিল। বিমানটি প্রাথমিকভাবে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে উড়েছিল, যা আসাদের আলাউইট সম্প্রদায়ের শক্ত ঘাঁটি ছিল। কিন্তু তারপরে একটি আকস্মিক ইউ-টার্ন নিয়ে বিপরীত দিকে উড়ে যায়। পরে আর মানচিত্রের মধ্যে ওই বিমান দেখা যায়নি। তবে ঠিক কোথায় গিয়েছেন সিরিয়ার এই প্রেসিডেন্ট তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে বিদ্রোহীরা দামেস্কের কাছে সেদনায়া কারাগারের সব বন্দীদের মুক্ত করে দিয়েছে। অধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, সরকারী বাহিনী সেখানে থাকা বন্দীদের ওপর ভয়ঙ্কর নির্যাতন চালিয়েছে। বিদ্রোহীরা এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা সেদনায়া কারাগারে অত্যাচারের যুগের সমাপ্তি ঘোষণা করছি।”
Advertisement
প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষে হঠাৎ করেই সিরিয়ার পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। ২৭ নভেম্বর বিদ্রোহীরা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোতে আক্রমণ শুরু করে। পরে গত রোববার (০১ ডিসেম্বর) বিদ্রোহীরা আলেপ্পোর কুর্দি যোদ্ধাদের দখলে থাকা কিছু সংখ্যাগরিষ্ঠ কুর্দি জেলা ছাড়া, বাকি অংশ নিজেদের দখলে নেয়। পরে বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) দেশের চতুর্থ বৃহত্তম শহর হামা দখলে নেয় বিদ্রোহীরা। শুক্রবার (০৭ ডিসেম্বর) সরকার নিয়ন্ত্রিত রাজধানী দামেস্ক ঘেরাও করার জন্য অভিযান শুরু করে তারা। এর মধ্যে রোববার (০৮ ডিসেম্বর) সিরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর হোমসের নিয়ন্ত্রণ দখল করার ঘোষণা দেয় বিদ্রোহীরা। অবশেষে পালিয়ে গেলেন বাশার আল-আসাদ।