মিনিটেই খাদ্যের মান নির্ণয়ে বিজয়ের আবিষ্কার

SHARE

khadder manবাকৃবি (ময়মনসিংহ): আইসক্রিম, জ্যাম, জেলি ও জুস প্রভৃতি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য ময়েশ্চার কনটেন্ট, তাপমাত্রা, পিএইচ ও পরিবেশের আর্দ্রতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে খাদ্যের এই চারটি ফ্যাক্টর নির্ণয়ের জন্য করতে হয় পৃথক পৃথক পরীক্ষা। তবে ল্যাবরেটরি ছাড়া পরীক্ষাগুলো করা সম্ভব নয়। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে এবং খুব সহজেই যদি এই পরীক্ষা করা যায় তবে কেমন হয়?

খাদ্যের এই চারটি ফ্যাক্টর নির্ণয় করা যাবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফুড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষবর্ষের শিক্ষার্থী সাঈদ আল মাহমুদ বিজয়ের তৈরি কোয়ালিটি কন্ট্রোলার প্রোফেশনালের (কিউসি প্রো) মাধ্যমে। সংক্ষেপে যাকে বলা হচ্ছে কিউসি প্রো। বিজয়ের সহযোগী হিসেবে এই আবিষ্কারে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও যন্ত্র বিভাগের শেষবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল মন্ডল।

নিজের তৈরি ‘কিউসি প্রো’ সম্পর্কে বিজয় বাংলানিউজকে বলেন, আমার এ যন্ত্রে চারটি ভিন্ন ভিন্ন সেন্সর লাগানো রয়েছে। সেন্সরগুলোর ভেতর খাদ্য প্রবেশ করালে যন্ত্রের ডিজিটাল মনিটরে ময়েশ্চার কনটেন্ট, তাপমাত্রা ও পিএইচ (pH factor) ফ্যাক্টরগুলোর (খাদ্যের গুণাগুণ নির্ধারক বিষয়সমূহ) নির্ভুল পরিমাপ জানা যাবে। যন্ত্রটি লম্বায় পাঁচ ইঞ্চি, চওড়ায় তিন ইঞ্চি এবং পুরুত্ব এক ইঞ্চি। যন্ত্রটি বহনযোগ্য, আকারে ছোট এবং হালকা।

অার মূলত এ কারণেই খাদ্যের নমুনা পরীক্ষাগারে না পাঠিয়েই এই যন্ত্রের সাহায্যে যেকোনো স্থানে, যেকোনো সময় খাদ্যের মান নির্ণয়ের পরীক্ষা করা যাবে। মিনিটেই পাওয়া যাবে ফল। এতে যেমন সময় বাঁচবে তেমনি খরচও কমে যাবে কয়েকগুণ।

এই অসাধারণ যন্ত্রটি উদ্ভাবনের জন্য বিশ্বব্যাংক এবং বেটার স্টোরিজের যৌথ উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান থেকে শীর্ষ ১০০ তরুণকে নিয়ে আয়োজিত ‘মেইক-আ-থন’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় বিজয়ের ‘কিউসি প্রো’।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে বিজয় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালেতে। তার এ অসাধারণ সাফল্যে বিজয়সহ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সবাইকে অভিনন্দন ও শুভ কামনা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর।