সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ পাহারায় জেলা শহরের পৌর কবরস্থানে আবীরকে দাফন করা হয় বলে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানান।
বৃহস্পতিবার ঈদের দিন শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের মাঠের কাছে পুলিশ ও হামলাকারীদের গোলাগুলির পর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবীরের (২২) লাশ পাওয়া যায়।
এরপর তাকে অন্যতম হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের করা মামলায় তাকেও আসামি করা হয়।
ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকে আবীরদের বাসা। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে। তিনি চার মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
শোলাকিয়ায় হামলার ছয় দিন আগে ঢাকার গুলশানে হামলাকারী হিসেবে শনাক্ত তিন যুবকও আবীরের মতো নিখোঁজ ছিলেন বলে তাদের পরিবারের ভাষ্য।
এরপর নিহতের আগের দিন গত ৬ জুলাই আবীরের বাবা সিরাজুল ইসলাম ছেলে নিখোঁজের বিষয়ে রাজধানীর ভাটারা থানায় জিডি করেন।
আবীরের লাশ বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে ছিল।
ওসি মীর মোশারফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরিবারের সদস্যরা আবীর রহমানের লাশ নিতে না চাওয়ার কারণে তাকে কিশোরগঞ্জেই দাফন করার সিদ্ধান্ত হয়।”
বিকালে কবরস্থানের সামনে অনুষ্ঠিত জানাজায় একজন ইমাম ছাড়া অন্য কেউ অংশ নেয়নি বলেও জানান তিনি।