জাপান ও ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা

SHARE

Sheikh-Hasina-bg20160711183106ঢাকা: চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোর জোট ‘আসেম’ সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গোলিয়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর এ বৈঠক বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। ওই হামলায় সাত জাপানি ও নয় জন ইতালির নাগরিকসহ ১৭ জন বিদেশিকে নির্মমভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক ও দু‘জন পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন হামলায়। পরে হাসপাতালে মারা যান আটক আরও একজন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী ১৫ ও ১৬ জুলাই মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটারে এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোর জোট আসেম’র ১১তম দ্বিবার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি এশিয়া ও ইউরোপের শীর্ষ কয়েক নেতাদের সঙ্গে সাউড লাইনে বৈঠকে করবেন শেখ হাসিনা।

গুলশানের ওই হামলার পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে সব ধরনের সহযোগিতাসহ সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানান।

সূত্র বলছে, আসন্ন এসব বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি এবং বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরবেন। এছাড়া সন্ত্রাস দমনে বৈশ্বিক সহযোগিতাও চাইতে পারেন তিনি।

জানা যায়, আসন্ন আসেম সম্মেলনে এশিয়া ও ইউরোপের ৫১টি দেশের রাষ্ট্র কিংবা সরকার প্রধান অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে জানা যায়, আসন্ন সম্মেলনে আসেমের কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি কানেকটিভিটির বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে। কানেকটিভিটি ইস্যুতে সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আসেম’র সদস্য হিসেবে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮ দেশ, ইউরোপের আরও ২ টি দেশ এবং এশিয়ার ২১ দেশ। এছাড়া আঞ্চলিক সংস্থা হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আসিয়ান এর সচিবালয় সদস্য।

প্রতি দুই বছর পরপর একবার এশিয়ায় এবং একবার ইউরোপে আসেম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ইতালির মিলানে আসেমের দশম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর এশিয়ার দেশ মঙ্গোলিয়ায় ১১তম সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।