ঢাকা: হলি আর্টিজান রেকারিতে জঙ্গি হামলার পর গুলশান-বনানীর রাতের চেহারা বদলে গেছে। রাতে রাস্তায় যানবাহন চলাচল অত্যন্ত সীমিত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনের ওপর কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে।
সীমিত যে যানবাহনগুলো চলাচল করছে তার প্রতিটিকেই চেক করছে পুলিশ। রয়েছে পুলিশের বিশেষ টহল।
গত ১ জুলাই রাতে রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্টুরেন্টে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ জন বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে। দেশের মধ্যে নজিরবিহীন এই ঘটনার পর পুরো গুলশান-বনানী এলাকায় আরও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বিশেষ করে রাতে গুলশানের সড়কগুলোতে কড়া অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। এই এলাকায় প্রবেশের সড়কগুলোতে চেকপোস্টে পুলিশ রয়েছে সার্বক্ষণিক তৎপর। চেকপোস্টে অবস্থান নেওয়া পুলিশের সদস্যরা প্রতিটি যানবাহন থামিয়ে তার গন্তব্য সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন এবং সন্দেহ হলে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
বারিধারা থেকে গুলশান দুই নম্বরের দিকে যেতে মার্কিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ চেকপোস্টে দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশের কনস্টেবল প্রদীপের কাছে এ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সব ধরনের গাড়িই আমরা চেক করছি। কোনোটা বাদ দিচ্ছি না।
এদিকে, ১ জুলাইয়ে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান-বনানীর রাতের চিরাচরিত চেহারা পাল্টে গেছে। গভীর রাতেও গুলশান-বনানীর সড়কগুলোতে ব্যস্ত যানবাহন চলাচলের চিরাচরিত দৃশ্যের অনেকটাই অনুপস্থিত।
ব্যস্ততার পরিবর্তে এক ধরনের নীরবতা নেমে এসেছে। রাত ১২টার পর থেকে এই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে রাস্তায় মাঝে-মধ্যে দুই একটি প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল চলাচল করছে। কোনো ধরনের বাস, ট্রাক, লেগুনা, রিকশা বা এ ধরনের কোনো যানবাহন এই এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
বনানী ব্রিজের কাছে বসানো চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের এএসআই মামুন বাংলানিউজকে বলেন, প্রাইভেট গাড়িগুলো ঢুকতে দিচ্ছি। প্রতিটি গাড়িই চেক করা হচ্ছে, খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। কোনো বাস, ট্রাক, লেগুনা, রিকশা ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
এই এলাকায় চেকপোস্টের পাশাপাশি পুলিশের টহলও লক্ষণীয়। বিভিন্ন সড়কে পুলিশের ভ্যান চলাচল করতে দেখা গেছে। গুলশান দুই নম্বরে রাত একটার দিকে সোয়াতের (আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার বিশেষ বাহিনী) একটি এপিসি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।