৩১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন, সাহায্যের কথা বলে স্বাক্ষর নেয়া হয় বাদীর

SHARE

৩১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন । ছবি : সংগৃহীত

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),খুলনার পাইকগাছা প্রতিনিধি, রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৯ ১৪৩১ 

 

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী গ্রামের কলেজ ছাত্র রকিবুল হাসান রকির মৃত্যুর ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানেন না বাদী ও নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম গাজী। শহিদদের জন্য সরকারি সাহায্যের কথা বলে গত ১৭ নভেম্বর দুই যুবক তার বাড়ি গিয়ে রকির মৃত্যু সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়ে যান। শনিবার (২৩ নভেম্বর) লোকমুখে মামলার বিষয়টি জানতে পারে তার পরিবার।

Advertisement

জানা গেছে, গেল ৫ আগস্ট বিকেলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আনন্দ মিছিল নিয়ে বাঁশের লাঠিতে জাতীয় পতাকা টাঙাতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান রকিবুল হাসান রকি। এ ঘটনার তিন মাস পর গত ২১ নভেম্বর বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রকিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন জমা দেয়া হয়। আওয়ামী লীগ নেতা ছাড়াও ১৪ জন সাংবাদিককে মামলার আসামি করা হয়।

এ ব্যাপারে বাদী রফিকুল ইসলাম গাজী সাংবাদিকদের বলেন, ছেলের মৃত্যুর পর চায়ের দোকানের অল্প আয় দিয়ে টেনেটুনে সংসার চলছিল। গত ১৭ নভেম্বর দুটি ছেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে তার বাড়িতে আসে এবং ছেলের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। শনিবার লোকমুখে মামলার খবর জানতে পারেন।

Advertisement

গ্রামবাসী জানান, চাঁদখালী গ্রামের রফিকুল ইসলাম গাজী চোখে দেখেন না। চা বিক্রি করে সংসার চালান তিনি। এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে রকিবুল হাসান রকি ছিলেন বড়। রকি খুলনার বিএল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। খুলনায় থাকতেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত হন। পরে কলেজ বন্ধ এবং কারফিউ জারি হলে গ্রামে গিয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। আন্দোলন সফলের পর তার করুণ মৃত্যুতে সবাই শোকাহত। তবে এভাবে মিথ্যা মামলা দেয়ার বিষয়টি মানতে পারছেন না তারা।

এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম সাংবাদিকদের বলেন, খুলনার এই বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে কিনা নিশ্চিত নই। কেউ অভিযোগ দিলে আমরা প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করি। যদি প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়, তখন অভিযোগটি তদন্ত সংস্থার কাছে পাঠাই। তারা এটা আরও ভালোভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিলে এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হয়। এজন্য কারও নামে অভিযোগ করলেই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

Advertisement