ঢাকা: ইসলাম সাম্য, সম্প্রীতি ও শান্তির ধর্ম। এতে উগ্রতা কিংবা জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি।
সোমবার (১১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মেনন বলেন, ‘যারা ধর্মের নামে সন্ত্রাস চাপিয়ে সমাজে অস্থিরতা ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে তাদের সামাজিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এজন্য ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে’।
মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালেও ধর্মের নামে সন্ত্রাস চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সম্মিলিত আকাঙ্খার কাছে পরাজিত হয়েছিল। এবারও মানবিক চেতনার বিকাশের মাধ্যমে জঙ্গিবাদীদের পরাজিত করা হবে। এজন্য প্রতিটি সচেতন বিবেককে ইসলামের সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করে জনগণকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত করতে হবে’।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির চক্র রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত হয়ে আশির দশকে ধর্মের নামে প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনায় বিশ্বাসীদের পায়ের রগ কেটে দিয়ে ধর্মের নামে উন্মত্ততা ছড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তারা সমাজের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়’।
‘২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গিবাদকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় উত্থান ঘটে বাংলা ভাইদের, দেশজুড়ে উগ্রবাদের মহোৎসব হয়। আজকের বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ সেই বিষবৃক্ষের ফল। এ বৃক্ষের উৎপাটনে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে। মা-বাবাকে খেয়াল রাখতে হবে সন্তানের প্রতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে’।
সভায় মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থায় জঙ্গিবাদবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় আরও বক্তৃতা করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত সচিব স্বপন কুমার সরকার, এএইচ এম জিয়াউল হক, যুগ্ম সচিব এটিএম নাসির মিয়া, ড. নাজমান আরা, উপ-সচিব শামীম আহমেদ, মাহবুবুর রহমান এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন।