ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আইন আদালত প্রতিনিধি, বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪ || অগ্রহায়ণ ৫ ১৪৩১ :
‘আয়নাঘরের মূল হোতা আমি? এসব কিভাবে বানান। আমি আয়নাঘরের মূল হোতা না। এসব আমার নামে বানানো ও মিথ্যা অভিযোগ।’
Advertisement
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে বহিষ্কৃত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এসব কথা বলেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কর্নেল (অব.) মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে অপহরণ ও গুমের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক মো. তৌহিদুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম সাইফুর রহমানের আদালত তার গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালতে তোলা হলে জিয়াউল আহসানের ব্যাপারে বিচারক সাইফুর রহমান জিজ্ঞাসা করেন, উনি কি অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা? তখন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, না অব্যাহতিপ্রাপ্ত নন, মূলত অবসরপ্রাপ্ত।
Advertisement
এরপর বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেন, ‘ওনার নামের পাশে অব্যাহতিপ্রাপ্ত লেখা আছে, এটা ঠিক করে দেবেন।’
তখন বিএনপির আইনজীবী বলেন, ‘উনি মূলত অব্যাহতিপ্রাপ্ত। আয়নাঘরের মূল হোতা তিনি। বিগত সরকারের গুম-খুনের কারিগর।
এ বক্তব্যের প্রতিবাদে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘আয়নাঘরের হোতা বললেই হলো? এসব কই পান।’ তখন বিচারক বলেন, ‘এখন তো শুনানির সময় না। আপনারা চুপ করেন।’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কর্নেল (অব.) মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যায় আসামিরা। দুই দিন গুম করে রাখার পর ২৯ ডিসেম্বর তাকে দুটি ভুয়া মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
Advertisement
পরবর্তী সময়ে জামিন পেয়ে তিনি এসব বিষয়ে অভিযোগ জানাতে থানায় গেলেও সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) নথিভুক্ত করা হয়নি। এ ঘটনায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক, জিয়াউল আহসানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তৌহিদুল ইসলাম।
জিয়াউল আহসান।