হাসিনাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে যা বলা হলো (ভিডিও)

SHARE

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক  প্রতিনিধি, মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৪ ১৪৩১ :

 

গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অগ্রগতি কী, তা জানতে চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থাকে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ওয়ারেন্ট কার্যকরের নির্দেশ দেন।

Advertisement

সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অগ্রগতি জানতে চান।

তখন তাজুল ইসলাম বলেন, “ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়নি। তিনি পালিয়ে গেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানতে পেরেছে, তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে সরকার তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগের বিচার কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এদিকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তে দুই মাস সময় চাইলে তদন্ত সংস্থাকে আদালত এক মাস সময় দেন। আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন। এ সময়ের মধ্যে ওয়ারেন্ট কার্যকর করতেও নির্দেশ দেন।

Advertisement

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তে দুই মাস সময় চাওয়া হয়। আদালত এক মাস সময় দেন।

 

এ মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, ফারুক খান, শাহজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, দীপু মনি, জুনায়েদ আহমেদ পলক, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এ ছাড়া আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলমকেও গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে মন্ত্রী-নেতাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে।