ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ,শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ || অগ্রহায়ণ ১ ১৪৩১ :
নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি জাকির খানের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবান তহুরার আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Advertisement
এদিন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু সেদিন কোনো সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। সেই সঙ্গে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির বলেন, জাকির খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু কোনো সাক্ষী আসেনি। এরআগেও অনেকবার সাক্ষীরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। যেহেতু সাক্ষীরা আসেনি তাই আমরা আদালতের কাছে জামিন আবেদন করেছিলাম। আমাদের আমাদের জামিন নামঞ্জুর করে পরে বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে জাকির খানকে আদালতে আনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই তার অনুসারীরা উপস্থিত হন। একপর্যায়ে তারা জাকির খানের মুক্তি চেয়ে মিছিলও করেন। সেই সঙ্গে জাকির খানকে কোর্টে তোলার সময়ে তার অনুসারীরা ঘিরে ধরেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও মৃদু লাঠিচার্জ করা হয়।
Advertisement
তবে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমাদের নিয়মিত ডিউটি হচ্ছে কোনো হাজতি আদালতে আনা হলে পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে সেদিকটা খেয়াল রাখা।
জাকির খান নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী সাব্বির আলম হত্যা মামলার আসামি ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। পরিচয় গোপন করে গত এক বছর সপরিবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করছিলেন। পরে গত ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ায় মামলার বাদী তৈমুর আলম খন্দকার সিআইডির দেওয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। পরে অক্টোবর মাসে তৈমুর আবার এ নারাজি প্রত্যাহার করে নেন। তবে এ মামলায় অনেকদিন ধরে সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসছেন না বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।