ঢাকা: বদলি খেলোয়াড় এডারের দুরন্ত গোলে প্রথমবারের মতো ইউরোপের ফুটবল সিংহাসনে আসীন হলো পর্তুগিজরা। দলের সেরা খেলোয়াড় রোনালদোকে প্রথমার্ধের ২৫ মিনিটে হারিয়ে কেঁদেছিল গ্যালারি ভর্তি পর্তুগিজ সমর্থকরা। তবে ফরাসিদের কাঁদিয়ে শেষ হাসি হাসলো তারাই।
তরুণ স্ট্রাইকার এডার প্রিয় তারকা রোনালদোর চোখের জল মুছে দিতেই যেন নেমেছিলেন মাঠে। দারুণ নৈপূণ্যে ২৫ গজ দূর থেকে ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লোরিসকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়িয়ে ইতিহাস গড়েন তিনি। তার একমাত্র গোলে ২০১৬ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা এখন পর্তুগালের।
পুরো ম্যাচ জুড়ে বল দখল ও আক্রমণে ফরাসিরা প্রভাব বিস্তার করলেও জালের নিশানা খুঁজে পেতে ব্যর্থ হওয়ায় কাঁদতে হলো প্যারিসবাসীকে। কাঁদতে হলো পুরো ফরাসি জাতিকেই। প্যারিসের আলো ঝলমলে রাত তাদের জন্য হয়ে গেলো অভিশপ্ত।
ফেভারিটের তকমা নিয়ে মাঠে নেমেছিলো দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা। পুরো টুর্নামেন্টেই উজ্জ্বল ছিলেন গ্রিজম্যান-পগবা-পায়েট। তবে প্যারিসের ফাইনালে তাদের সেই ঔজ্জ্বল্য কোথায় যেন গেল হারিয়ে। একের পর এক গোলে মিসের মহড়া দিলেন গিরুড-গ্রিজম্যানরা। এমনকি নিজেদের জাতীয় স্টেডিয়ামের বারপোস্টও যেন তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালো।
অন্যদিকে ফাইনাল ম্যাচে আন্ডর ডগ হয়ে খেলতে নামা পর্তুগাল খেলার মাত্র ২৫ মিনিটেই ইনজুরিতে হারিয়ে বসে দলের সেরা খেলোয়াড়কে। পর্তুগিজ সমর্থকদের হতাশায় ডুবিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন রোনালদো। এ যেন ফিরে এলা ২০০৪ সালের সেই অভিশপ্ত রাত। ১২ বছর আগে এমনই এক রাতে গ্রিসের বিপক্ষে ইউরোর ফাইনালে শিরোপা বঞ্চিত হয়েছিলেন ১৯ বছর বয়সী রোনালদো।
অধিনায়ক রোনালদোকে হারানোয় দলের শিরোপা জয়ের আশা হয়তো ছেড়েই দিয়েছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু রোনালদোর সতীর্থরা হার না মানা লড়াই চালিয়ে প্রিয়া তারাকাকে লিওনেল মেসির মতো খালি হাতে ফেরাতে চাননি। রোনালদোর হাতে শিরোপা তুলে দিতেই তারা অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল নিয়ে তারকায় ঠাসা ফ্রান্সের সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করে। দৃঢ় রক্ষণ কৌশলে ক্ষিপ্র গতির পর্তুগিজরা তাই প্রাণপণ লড়াইয়ে ঘরে তুলে নেয় বহু কাঙ্ক্ষিত শিরোপা!