ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকার গুলশান প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪ || কার্তিক ৩০ ১৪৩১ :
নিখোঁজের চার দিন পর খোঁজ মিলল নারায়ণগঞ্জের শিল্পপতি জসিম উদ্দিন মাসুমের (৫৯)। যদিও তাঁকে জীবিত নয় বরং সাত টুকরো লাশ আকারে পাওয়া গেছে । এর আগে তিনি রাজধানী ঢাকার গুলশান থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন। বুধবার (১৩ নভেম্বর) রূপগঞ্জের পূর্বাচলে লেকের পাড় থেকে পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো মাসুমের সাত টুকরা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার দিবাগত গভীর রাতে তার পরিবার ওই ব্যাবসায়ীর মরদেহ শনাক্ত করে।
Advertisement
চাঁদ ডায়িং ফ্যাক্টরিসহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে নিহত মাসুমের । তিনি রাজধানীর বসন্ধুরা আবাসিক এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে স্বজনরা ভিড় করেন। নিহতের ভাই দাইমউদ্দিন জানান, গত ১০ নভেম্বর বিকেলে গুলশান থেকে মাসুম নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ১২ নভেম্বর গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নিহত মাসুমের ছেলে ওবায়দুল ইসলাম শিবু। বুধবার রাতে আমরা লাশ শনাক্ত করেছি। কিন্তু কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটা আমরা জানি না। এ বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। আমরা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
নিহতের চাচাতো বোন রেহানা আক্তার জানান, আমরা পুলিশের কাছ থেকে জেনেছি ভাড়াটিয়া খুনীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কিন্তু কী কারণে হত্যা করেছে সেটা আমরা জানি না।
Advertisement
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১০ নভেম্বর বিকেলে বাসা থেকে গাড়ি করে বের হয়ে গুলশান যান জসিম উদ্দিন। এরপর ব্যক্তিগত গাড়িচালককে ছেড়ে দেন। চালককে জানিয়েছিলেন অন্য গাড়িতে নারায়ণগঞ্জের কারখানায় যাবেন। তবে রাতে বাসায় না ফেরায় ও মোবাইল বন্ধ থাকায় ১২ নভেম্বর গুলশান থানায় জিডি করেন তার বড় ছেলে।
এ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার এস আই রোকন উজ্জামান জানিয়েছেন, অজ্ঞাত মরদেহটি একজন ব্যবসায়ীর। মরদেহের ময়নাতদন্তের কাজ চলছে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযানে আছে। নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ওই ব্যক্তি অন্তত তিনদিন আগে মারা গেছেন বলে ধারণা করছি। হত্যার পর তার দেহের বিভিন্ন অংশ কেটে টুকরা করে পলিথিন ব্যাগে ভরে লেকে ফেলে দেওয়া হয়। তার শরীরের দুটি অংশ এখনও পাওয়া যায়নি। আমরা যথাসম্ভব খুঁজেও পাইনি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি। থানা পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে সিআইডি ও পিবিআই সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করেছে। খণ্ডিত টুকরা পঁচে-গলে যাওয়ায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট থেকে মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। পরে জিডির সূত্র ধরে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হয়।