ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকার ধামরাই প্রতিনিধি , মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ || কার্তিক ২৮ ১৪৩১ :
ঢাকার ধামরাইয়ে স্বামী-সন্তানের সামনে কুলসুম আক্তার (৩০) নামে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে (৩০) কে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত কুলসুমের ভাই ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এরই মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত কুলসুম ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকার ইয়ার হোসেনের স্ত্রী। তিনি পাঁচ বছরের এক ছেলের মা ও চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কুলসুমের নানি শাশুড়ি আমিনা খাতুন (৬০) গ্রেপ্তার হয়েছেন। আমিনা উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের বান্নাখোলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ঘটনার কিছুদিন আগে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন।
মামলায় আমিনা ছাড়াও কুলসুমের শ্বশুর আয়নাল পাগলা (৫৫), শাশুড়ি সূর্য বানু (৪৫) ও ভাতিজি ইয়াসমিন আক্তারের (১৯) বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা গেছে, ছয় বছর আগে ইয়ার হোসেনের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার নয়াপাড়া এলাকার হাসান আলীর মেয়ে কুলসুমের বিয়ে হয়। এরপর থেকেই তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ করত। বৃহস্পতিবার সকালে শাশুড়ির রান্নাঘরে কুলসুমের মুরগি যাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কুলসুমকে তার স্বামী ইয়ার ও ছেলে ইয়াসিনের সামনেই শ্বশুর আয়নাল, শাশুড়ি সূর্য, নানি শাশুড়ি আমেনা খাতুন, ভাতিজি ইয়াসমিন শ্বাসরোধ করে ও বুকের ওপর উঠে ইট দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এ সময় ইয়ার থামাতে গেলে তাকেও পিটিয়ে জখম করে তারা। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই কুলসুমের মৃত্যু হয়। কুলসুমের ডান চোখের পাশে রক্তাক্ত জখম, মুখ, পিঠসহ সারা গায়ে জখমের চিহ্ন দেখা গেছে।
Advertisement
ইয়ার হোসেন জানান, তার স্ত্রীর একটি মুরগি রান্নাঘরে গিয়ে তার মায়ের আটা নষ্ট করে। এ কারণে তার সামনেই তার মা-বাবা, নানি ও ভাতিজি মিলে কুলসুমকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। তিনি থামাতে গেলে তাকেও পিটিয়েছে। কুলসুসের ভাই ইকবাল হোসেন তার বোনের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।
এদিকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় চারজনের নামে মামলা হয়েছে। এরমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Advertisement