গুলশানের এক রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন জঙ্গি হামলার পর রাজধানীর অভিজাত এই আবাসিক এলাকার অননুমোদিত রেস্তোরাঁ, হাসপাতাল ও স্কুল-কলেজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
১২ দপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটির এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসনে আমুর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান।
এজন্য ওই এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এই ধরনের স্থাপনাগুলোকে তদারকির মধ্যে এনে সেগুলো বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে দুই দফা বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিসভা কমিটির এই ‘বিশেষ’ বৈঠক হয়, যাতে আমু সভাপতিত্ব করেন।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গুলশানের ‘রেসিডেনসিয়াল এরিয়ায়’ যত্র তত্র গড়ে ওঠা রেস্তোরাঁ, হসপিটাল, বিভিন্ন রকম স্কুল-কলেজলোকে তদারকির আওতায় আনা হবে। বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্তভাবে এধরনের স্থাপনা যাতে গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
“এবং উইথাউট পারমিশনে যেগুলো হয়েছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।”
ভারতের বিতর্কিত ইসলামী বক্তা জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ‘জঙ্গিবাদে উৎসাহ যোগানোর’ অভিযোগ ওঠার পর তার পিস টিভির সম্প্রচার বাংলাদেশে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রোববারের এই বৈঠকে ‘জঙ্গিবাদে উৎসাহ যোগানোর’ অভিযোগের মুখে থাকা ভারতের বিতর্কিত ইসলামী বক্তা জাকির নায়েকের পিস টিভির সম্প্রচার বাংলাদেশে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও জানানো হয়।
গত ১ জুলাই গুলশানে হলি আটিজান বেকারিতে বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়াবহতম জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে অন্তত দুজন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জাকির নায়েকের মতো ইসলামী বক্তাদের নিয়মিত অনুসরণ করতেন।
তার কথায় প্ররোচিত হয়ে ভারতের কয়েকজন তরুণ আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে বলেও খবর এসেছে।