সন্ত্রাস-জঙ্গি দমনে আধুনিক অস্ত্র, পারদর্শিতায় মিলবে পুরস্কার

SHARE

jongidomonঢাকা: সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সময় মতো পারদর্শিতা দেখালে তাদের পুরস্কৃত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গুলশান হামলার মতো যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ এবং তাদের কার্যক্রমের ওপর এই পুরস্কার নির্ধারণ হবে।

রোববার (১০ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালের জরুরি এই বৈঠক হয়েছে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।

শুধু তাই নয়, পুলিশ বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম দিয়ে সাজানো হবে বলেও সিদ্ধান্ত এসেছে।

জঙ্গি হামলায় পুলিশ সদস্য ও বিদেশি নিহত হওয়ায় আন্তঃমন্ত্রণালের জরুরি বৈঠকে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংগঠিত হামলা মোকাবেলায় সক্ষমতা প্রদর্শনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

আমির হোসেন আমু বলেন, দেশের সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিবাদ দমন করতে চাই। এ জন্য দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে একটি সামাজিক বিপ্লব গড়ে তোলা হবে। ঈদের ছুটিতে ২টি ঘটনা ঘটেছে। আরও একটি ঘটনার আশঙ্কা ছিল। এ কারণে আজকের এই বৈঠক।

তিনি বলেন, ৪৫টি চাঞ্চল্যকর মামলার মধ্যে গুলশানে ইতালীয় নাগরিক তাবালো এবং রংপুরে জাপানি নাগরিক হোসি কোনিও হত্যাসহ ১৫টি মামলার চার্জশিট হয়েছে। বকিগুলো তদন্ত চলছে।

এতে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু, পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হকসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।