ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪ || কার্তিক ২৩ ১৪৩১ :
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নিয়ামক ছিল নিত্যপণ্যের চড়া দাম নিয়ে জমে থাকা দীর্ঘদিনের ক্ষোভ। কিন্তু পরিবর্তনের তিন মাসেও সেই ক্ষোভ দমাতে ব্যর্থ হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার। কেননা স্বস্তির বদলে বরং অস্বস্তিই বেড়েছে বাজারগুলোতে।
Advertisement
যেমন চালের কথাই ধরা যাক। গত সাত আগস্টে মাঝারি মানের এক কেজি চাল পাওয়া যেতো সর্বোচ্চ ৫৮ টাকায়। যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা পর্যন্ত। আর টিসিবির হিসাবে তিনমাসে দাম বেড়েছে ১২ শতাংশ। এছাড়া, পামওয়েলের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। ১২০ টাকার দেশি পেঁয়াজ উঠে গেছে দেড়শো টাকায়। সাথে ৫৫ টাকার আলু ছুঁয়েছে ৭০’র ঘর।
তবে অর্থনীতিবিদ দ্বীন ইসলাম বলছেন ভিন্ন কথা। চ্যানেল 24-কে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্যে তিন মাসের অন্তর্বর্তী সরকারকে দায় দেয়া যাবে না। এই অস্থিরতার পেছনে মূলত বিগত ১৫-২০ বছর ধরে যে নির্বাচিত সরকাররা এসেছেন তাদের ব্যর্থতাই আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি।
যদিও সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলছেন, মূল্যস্ফীতি বা বাজার ব্যবস্থাপনার দিক থেকে বিবেচনা করলে আমি বলবো সরকারের যে উদ্যোগগুলো সেগুলো মোটেই যথেষ্ট না। এ ক্ষেত্রে সরকারের সফলতা শূন্যের কাছাকাছি।
Advertisement
দায়িত্ব নেয়ার পর, বাজার নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি নতুন সরকার। বরং, নানা অজুহাতে রেকর্ড ছুঁয়েছে ডিম, সবজি, মুরগি কিংবা মাছের দাম। তাই উদ্যোগ নেয়া হয় আমদানি, সরবরাহ ও উৎপাদন পর্যায়ে শুল্ক ছাড় দেয়ার। কিন্তু তারও প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দাম নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসাবে আগের সরকারের ভুল নীতিতেই পড়ে আছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বড় ব্যবসায়ীদের বাজারে প্রভাব কমিয়ে ছোট ব্যবসায়ীরা যেন বাজারে ঢুকতে পারে সেজন্যে আইনগত কিছু পরিবর্তন করা, ভোক্তাদের চাহিদার পরিবর্তনের তালিকা তৈরি করা- এ ধরণের কোন উদ্যোগ আমাদের চোখে পড়েনি।
Advertisement
আর অর্থনীতিবিদ দ্বীন ইসলাম বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আমদানি করবে কিন্তু এটাকে বাস্তবায়নের জন্যে যে সমন্বয় দরকার এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক বা লোকাল কাস্টমসে টার ঘাটতি রয়েছে। এটা গত সরকারের আমলেও ছিল, তিন মাসের এই সরকারের আমলেও রয়েছে।