ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি, রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪ || কার্তিক ১৯ ১৪৩১ :
পতিতাবৃত্তি ও বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক রোধে মাত্র ১ ঘণ্টার জন্য তরুণীদের বিয়ে করার ব্যবস্থা চালু রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে। এসব সম্পর্ক ইসলামে হারাম, এই ধরনের বিয়ে চালুর এটাও একটা কারণ। এ ধরনের বিয়েকে বলা হয় মোতাহ বিয়ে।
Advertisement
ইরানে বিয়ে ছাড়া একসঙ্গে যুবক-যুবতীর থাকাকে বলা হয় ‘হোয়াইট ম্যারেজ’ বা সাদা বিয়ে। দেশটিতে কড়া ইসলামী আইনে নারী-পুরুষের এভাবে একসঙ্গে থাকা অবৈধ। কিন্তু তারপরও চলছে এই সাদা বিয়ে।
ইরানে অনেক যুগলই তাড়াহুড়ো করে বিয়ে করতে চান না। এর কারণ হচ্ছে দেশটির ক্রমবর্ধমান বিবাহবিচ্ছেদের হার। কারণ দেশটিতে প্রতি পাঁচটি বিয়ের একটি বিচ্ছেদ হয়। এর মধ্যে রাজধানী তেহরানে বিবাহবিচ্ছেদের হার সবচেয়ে বেশি।
ইরানের আইনে বিয়ের বাইরে কোনো নারী-পুরুষের শারীরিক সংস্পর্শ ঘটলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ কারণে যে যুগলরা এ রকম সাদা বিয়ে করেছেন -তারা এটা নানাভাবে গোপন রাখেন, যাতে লোকের চোখে তা ধরা না পড়ে।
সাদা বিয়ে করেছেন এমন কোনো নারী যদি অত্যাচারিত হন তাহলে তিনি পুলিশের কাছে যেতে পারেন না, কারণ তাহলে তিনি ও তার সঙ্গী উভয়কেই ব্যভিচারের দায়ে গ্রেপ্তার করা হবে।
Advertisement
তবে ইরানের তরুণ প্রজন্মকে বিয়েতে উৎসাহিত করতে চালু হয়েছে হামদানের মতো ডেটিং অ্যাপ । বিয়ের প্রাথমিক খরচ মেটাতে সুদমুক্ত ঋণও দেয়া হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, বিয়ে নিয়ে বিচিত্র আচার প্রচলিত আছে ইরানে। দেশটিতে ১৩ বছর বয়সী মেয়ে এবং ১৫ বছর বয়সী ছেলেদের বিয়ে দেয়া বৈধ।
দেশটিতে বিয়ের আগে নারীকে কুমারীত্বের সার্টিফিকেট দিতে হয়। এ ছাড়া মেয়ের বয়স ১৩ বছর হলে পালক কন্যাকে বিয়ে করতে পারেন বাবা।
ইরানের আছে হাজার বছরের ইতিহাস। তবে দেশটিতে ইসলামের ছোঁয়া লাগে সপ্তম শতকে। আরব মুসলিমরা ৬৩৬ খ্রিষ্টাব্দে পারস্য সাসানীয় সাম্রাজ্যে আক্রমণ শুরু করে। পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে তারা এলবুর্জ পর্বত ও কাস্পিয়ান সাগরের তীরবর্তী সমভূমি ব্যতীত সমগ্র ইরান করায়ত্ত করে। ৬৫১ সালে তারা সাসানিদ সাম্রাজ্যের পূর্ণ পতন ঘটাতে সক্ষম হয়।
Advertisement
এর পর প্রায় দুই শতাব্দী ধরে ইরান আরব ইসলামিক সাম্রাজ্যের অধীনে। এ সময় মূল ইরানের বাইরে বর্তমান পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাতেও এই সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটে। ইসলামের খলিফারা প্রথমে মদীনা ও পরবর্তীকালে সিরিয়ার দামেস্ক ও শেষ পর্যন্ত ইরাকের বাগদাদ থেকে ইরান শাসন করতেন।