ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর ২০২৪ || কার্তিক ১ ১৪৩১ :
তারকা কন্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি হয়রানির আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, বাড়ি তল্লাশির পর পুলিশ মিথ্যা মামলা দায়ের করতে পারে। আমার পরিবারকেও হয়রানি করা হতে পারে। পুলিশ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় আমি এখন কার কাছে নিরপাত্তা চাইবো বলেও মন্তব্য করেছেন নন্দিত এই কণ্ঠশিল্পী।
Advertisement
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে দুপুর পৌনে একটা থেকে একটা পাঁচ মিনিট পর্যন্ত সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেন তিনি। ‘জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি’র বাক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ ও পুলিশী হয়রানির প্রতিবাদে’ শিরোনামে সাংবাদিক সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জাসাস) সভাপতি আব্দুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী মনির খান ও রিজিয়া পারভীন।
নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি বলেন, কয়েকদিন আগে আমি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করেছি। তাতে রাজনৈতিক কিছু প্রসঙ্গ ছিল। আমি মনে করি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি ভালোলাগা-মন্দলাগা থেকে কিছু প্রকাশ করার অধিকার আমার আছে। এই স্ট্যাটাস দেয়ার পর মোবাইল ফোনে আমাকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে আমার নেত্রকোনার বাড়িতে পুলিশের পোশাকধারী ২০-২৫ জন লোক তল্লাশি করতে যান। তারা বলেছে আমার বাড়িতে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিারা আশ্রয় নিয়েছে।
Advertisement
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন সাত বছর ধরে সঙ্গীতাঙ্গনে থাকলেও এতোদিন আমি শিল্পী ছিলাম। এখন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা হয়ে গেলাম।
তিনি বলেন, ওই সময় আমি তাদের বলেছি অজ্ঞাতনামা কোন ব্যাক্তি আমার বাড়িতে নেই। তাদের তথ্য সঠিক নয়। তারা বলেছে আমাকে, আমার ছোট ভাইকে ধরে নিয়ে যাবে।
গত মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় পুলিশের দু’টি ভ্যান এবং ২০-২৫ জনের মধ্যে একজন ছাড়া বাকিরা পুলিশের পোশাক পরা ছিলেন জানিয়ে ন্যান্সি বলেন, সিভিল পোশাকে থাকা ব্যক্তি নিজেকে এসআই আলমগীর পরিচয় দেন। তিনি আপত্তিকর ভাষায় আমাকে বিভিন্ন কথা বলেন।
Advertisement
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে কী না জানতে চাইলে ন্যান্সি বলেন, নেত্রকোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেছেন সন্ত্রাসীদের খুঁজতে গিয়ে আমার অসহযোগিতা ছিল। তাই আমাকেও ভবিষ্যতে পুলিশ কোনো সহযোগিতা করবে না। এ অবস্থায় আমি কীভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমি কি সদর থানায় গিয়ে বলবো, আপনারা আপনাদের বিরুদ্ধে একটি জিডি করুন।