ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সাভারের আশুলিয়ার জামগড়ায় অবস্থিত থিম পার্ক ফ্যান্টাসি কিংডম। ছোট-বড় সব বয়সী বিনোদনপ্রেমীদের জন্য নানা রকমের রাইডগুলোকেও ছুটে চলতে দেখা গেলো আপন গতিতে।
এখানে রয়েছে দু’ধরনের প্যাডেল বোটসহ মজার মজার প্রায় ৪৮টি রাইড। পার্কের সবচেয়ে উত্তেজনাকর ও জনপ্রিয় রাইড হলো রোলার কোস্টার। এছাড়াও রয়েছে জায়ান্ট ফ্লুম, শান্তা মারিয়া, ম্যাজিক কার্পেট, ওয়ার্লি বার্ড, হ্যাপি ক্যাঙ্গারু, বাম্পার কার, বাম্পার বোট, জিপ অ্যারাউন্ড, পানি অ্যাডভেঞ্চার, ইজিডিজি, জুজু ট্রেন ইত্যাদি।
এছাড়া খাওয়া-দাওয়ার জন্য রয়েছে তিন তারকা মানের আশু ক্যাসেল রেস্টুরেন্ট ও ওয়াটার টাওয়ার ক্যাফে। ঈদ উপলক্ষে দর্শনার্থীদের জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষ আকর্ষণীয় কনসার্টসহ ড্যান্স শো, ডিজে শো (ডিজে মেহেদী) এবং অ্যাক্রোব্যাট শো’র ব্যবস্থা করেছে।
ঈদের এ উৎসবমুখর দিনগুলোতে ফ্যান্টাসি কিংডম বর্ণালী সাজে সজ্জিত। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে ঈদ পরবর্তী কনসার্ট।
দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ও চমৎকার সব রাইড নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে হেরিটেজ পার্ক। বিনোদনপ্রেমী বাঙালিকে দেশের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় ও চমৎকার সব রাইডে চড়ার সুযোগ রয়েছে হেরিটেজ পার্কে।
পার্কে যেসব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা রয়েছে তার মধ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, আহসান মঞ্জিল, চুনাখোলা মসজিদ, কান্তজীর মন্দির, জাতীয় সংসদ ভবন, ষাটগম্বুজ মসজিদ, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার উল্লেখযোগ্য।
স্থানটিতে আসা দর্শনার্থী হুমায়রা, সাগর, রাসেলসহ আরো কয়েকজন অত্যন্ত উৎফুল্লের সঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের সময়টাতে পার্কে অনেক মজা করা যায়। সবাইকে নিয়ে একত্রে ঘোরা যায়। সুন্দর কিছু সময় পার করা যায়। এখানে দারুন সব রাইডস থাকায় চমৎকার সময় কাটছে আমাদের।
ফ্যান্টাসি কিংডমের ওয়াটার কিংডমে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসা ছোট-বুড়ো সবাই ব্যস্ত আনন্দ উপভোগে। ঈদের এ ছুটিতে বিনোদনপ্রেমীদের দর্শনীয় স্থানটির প্রতি আকৃষ্ট করতে নানা সুযোগ-সুবিধা ছাড়াও নিরাপত্তার কথা জানালেন ফ্যান্টাসি কিংডমের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ আব্দুল করিম সুজন।
তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে বিনোদনপ্রেমীদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। সিসি ক্যামেরা, পোশাকে- সাদা পোশাকে নিরাপত্তা প্রহরী, আনসার সদস্য, পুলিশ সদস্যসহ রয়েছে নিজস্ব নিরাপত্তা বহিনী।
ফ্যান্টাসি কিংডমের জেনারেল ম্যানেজার মেজর (অব.) মনজুর উদ্দিন আহমেদ জানান, ঈদের দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে রয়েছে ডিসকাউন্টের ছড়াছড়ি। আছে লাকি কুপনের ব্যবস্থাসহ মজার মজার ফুড ম্যানু।