মেঘনা পাড়ে চর আলেকজান্ডার। এখানে জোয়ার-ভাটার খেলা চলে। উঁচু ঢেউ আঁচড়ে পড়ে। জেলেরা রুপালি ইলিশ ধরে। মনোরম এ পরিবেশ কার না ভালো লাগে। তাইতো ছেলে-বুড়ো সবাই আলেকজান্ডার মেঘনা পাড়ে উপচে পড়ে।
চর আলেকজান্ডার। এটি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা সদর। অব্যাহত ভাঙনে পৌর শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মেঘনা নদী। উপজেলা পরিষদের বারান্দা থেকে মাত্র ১শ’ গজের দূরত্বে মেঘনা পাড়।
ভাঙন রোধে এ পাড়ে বাঁধ হয়েছে। বাঁধের ওপর জড়ো হয় সবাই। উপভোগ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এখানে নতুন বালুর বেলাভূমি। নদীর ঢেউ জলের মিষ্টি সুর, এসবে মুগ্ধ হয় আগত সবাই। এখানে আসলে বাতাসে দোলে শরীর ও মন, তাই তো সবাই বার-বার ছুটে আসে এ পাড়ে।
রামগতি উপকূলীয় উপজেলা। এ জনপদে বিনোদনের কোনো মাধ্যম নেই। তবে, আলেকজান্ডার মেঘনা নদীর পাড়ে ছুটে এলে মনের খোরাক মিটে যায়। তাই তো দলবেঁধে পরিবারের সবাই মিলে ভিড় জমায় এখানে। ঈদকে ঘিরে এখানে প্রাণের উচ্ছ্বাস বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসছে বিনোদন প্রেমীরা।
ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন স্থান থেকে দল বেঁধে নদী পাড়ে এসে প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠছে সবাই। নৌকা চড়ে মেঘনা ঘুরছে। পরিবারে সদস্যদের সঙ্গে আসা ছোট শিশুরাও উল্লাসে ভাসে এ পাড়ে এসে।
শহর থেকে আসা তুহিন, রাজু ও সাকিব বাংলানিউজকে জানান, শহরের বন্দি জীবন থেকে নদীর পাড়ে এসে অনেক স্বস্তি লাগছে। তাদের মতে আলেকজান্ডার মেঘনা পাড়ের প্রকৃতি সত্যিই ভালো লাগার।
লিপি নামে এক তরুণী বাংলানিউজকে বলেন, মেঘনা পাড়ে এসে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার স্বাদ মিটেছে।
মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে আলেকজান্ডার শহর যখন মারাত্মক হুমকির মুখে, ঠিক এমনি মুহূর্তে সেনাবাহিনী নদীর পাড় রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ করে। এ বাঁধের ফলে পলি জমে নদীর পাড়ে বেলাভূমি তৈরি হয়ে মনোরম রুপের সৃষ্টি করে।