ঢাকা: বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানির ২০ বছরের ইউরো খরা ঘোঁচানোর অপেক্ষাটা আরো দীর্ঘায়িত হলো। এবারের আসরে ফ্রান্স-পর্তুগাল ফাইনাল উপভোগ করবেন ফুটবলপ্রেমীরা। জার্মানদের ২-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নাম লেখালো স্বাগতিকরা।
ফ্রেঞ্চদের হয়ে দু’টি গোলই আসে অ্যান্তোনি গ্রিজম্যানের পা থেকে। ছয় গোল করে সর্বোচ্চ গোলস্কোরের অ্যাওয়ার্ড ‘গোল্ডেন বুট’ নিশ্চিত তার।
রোববার (১০ জুলাই) তৃতীয় ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লক্ষ্যে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের মুখোমুখি হবেন দিদিয়ের দেশমসের শিষ্যরা। ফ্রান্সের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি শুরু হবে।|
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ফ্রান্সের কর্ণার কিক বাস্তিয়ান শোয়েইনস্টাইগারের হাতে লাগা মাত্রই পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে স্বাগতিক দর্শকদের উল্লাসে মাতান গ্রিজম্যান।
বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ওজিল-মুলার-ক্রুসদের চোখেমুখে যেন গোলের জন্য হাহাকারই ফুটে ওঠে। উল্টো ৭২ মিনিটে ভিজিটরদের দুঃস্বপ্ন উপহার দেন গ্রিজম্যান। পল পগবার ক্রস নয়্যার ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি বলটি জালে পাঠিয়ে টুর্নামেন্টে নিজের ষষ্ঠ গোল আদার করে নেন ২৫ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড।
দুই গোলে পিছিয়ে থেকে জার্মানদের সমতায় ফেরার সমীকরণটা কঠিনই হয়ে পড়ে। বল দখলের লড়াই সহ আক্রমণাত্মক ফুটবলে এগিয়ে থেকেও নির্ধারিত সময় জুড়ে গোলবঞ্চিত থাকেন জোয়াকিম লোর শিষ্যরা। শেষ পর্যন্ত সেমি থেকে বিদায় নিয়েই বাড়ি ফিরতে হলো তিনবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নদের।
রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর পর পরই জয়োৎসবে মাতেন পগবা-মাতুইদি-গ্রিজম্যানরা। শিরোপা থেকে আর মাত্র একটি জয় দূরে ৯৮’র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
এর আগে মার্শেইয়ের ভেলোদ্রোম স্টেডিয়ামে খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল স্টেডিয়াম মাতিয়ে রাখে দু’দল। খেলা শুরুর সাত মিনিটেই ফ্রান্সকে লিড এনে দেওয়ার চমৎকার একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন গ্রিজম্যান। কিন্তু গোলমুখের সামনে থেকে নেওয়া শটে পাওয়ার ছিল না। ঝাঁপিয়ে পড়ে তা প্রতিহত করেন ম্যানুয়েল নয়্যার।
এর চার মিনিট বাদেই থমাস মুলারের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি মিস করেন ফ্রান্সের অলিভার জিরুদ। নয়্যারকে একা পেয়েও বিলম্বে শট নেয়ার খেসারত দিতে হয় আর্সেনাল স্ট্রাইকারকে। পেছন থেকে দৌড়ে এসে দুর্দান্ত ট্যাকল করেন বেনেডিক্ট হাওয়েডস। সে যাই হোক, ম্যাচ শেষে জিরুদের আক্ষেপ রূপ নেয় উৎসবে।