ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি, সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ || আশ্বিন ২২ ১৪৩১ :
জয়যাত্রা টেলিভিশনের চেয়ারপারসন হেলেনা জাহাঙ্গীর ও অভিনেতা রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালতে নেসার উদ্দিন বাহাদুর নামে এক ব্যক্তি এ মামলা করেন।
Advertisement
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মতিঝিল থানা পুলিশকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাসেল মিয়া হেলেনা জাহাঙ্গীরকে তার কথিত বোন বলে পরিচয় দেয়। নিজেকে অত্যন্ত প্রতাপশালী বিখ্যাত চিত্রনায়ক বলে দাবি করে। ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার সাড়ে ৭ টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের ‘পাপমুক্ত’ ছবির একটি বক্তব্য নেসার উদ্দিনের দৃষ্টিগোচর হয়। সেখানে হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, ওজু করে হলে গিয়ে ছবি দেখে বের হয়ে নামাজ পড়তে পারবে। তার এ ধরনের বক্তব্য সমস্ত মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক ও ন্যাক্কারজনক। যা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। তিনি অত্যন্ত সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিতভাবে সচেতন অভিপ্রায়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে।
এতে আরও বলা হয়, রাসেল মিয়া গত ২১ সেপ্টেম্বর তাদের মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে থানায় গিয়ে আবারও কোরআন শরীফ ছুঁয়ে মিথ্যা বলতে দেখা যায়। এভাবে একাধিকবার কোরআন শরীফ ছুঁয়ে মিথ্যাকে সত্য প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালায় যা মুসলিম সমাজে কোরআন অবমাননা ও চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীর নিদর্শন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ধর্মকে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে হেলেনা জাহাঙ্গীর ইসলাম ধর্ম বিরোধী কথা বলে এবং রাসেল মিয়া পবিত্র কোরআন ছুঁয়ে মিথ্যা শপথ করে সারা দেশের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে সচেতন অভিপ্রায় নিয়ে আঘাত করেছে।
Advertisement
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মুক্তি পায় ‘ভাইয়ারে’ নামের একটি সিনেমা। এতে অভিনয় করেন হেলেনা জাহাঙ্গীর ও রাসেল মিয়া। সিনেমাটি মুক্তির আগে হেলেনা জাহাঙ্গীর দাবি করেন, এটি একটি পাপমুক্ত সিনেমা।
অন্যদিকে, সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার রাজধানীর একটি সিনেমা হলে রাসেল মিয়াকে বলতে শোনা যায়, ‘আল্লাহর কসম, আমি কোরআন শরিফের উপর হাত রেখে বলতে পারি, এটা আসলেই একটা পাপমুক্ত ছবি।’
হেলেনা জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন। কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগেরও উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নামের একটি সংগঠন গড়ে তুলে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন। পরে তাকে আওয়ামী লীগের সব কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়।
Advertisement
হেলেনা জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন জয়যাত্রা টেলিভিশনের বিরুদ্ধে প্রতিনিধি নিয়োগের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে টেলিভিশনটি পরিচালনার জন্য তিনি গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।
