ধানমণ্ডির দি ডার্ক রেস্টুরেন্টের গোপন কেবিনে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২ (ভিডিও)

SHARE

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন  ২২ ১৪৩১ :

রাজধানীর ধানমন্ডির র‌্যাংগস কেবি স্কয়ার ভবনের ১২ তলায় অবস্থিত দি ডার্ক রেস্তোরাঁর ভেতরে রয়েছে ৭টি গোপন কেবিন। অভিযোগ আছে, তরুণ-তরুণীরা এ গোপন কেবিনে এসে একান্তে সময় কাটায়। ফলে এক শ্রেণির মানুষের কাছে এ রেস্তোরাঁ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দুমাস আগে এখানকার এক গোপন কেবিনেই ঘটেছে ধর্ষণের ঘটনা।

Advertisement

ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্রে এক ব্যক্তির সঙ্গে ডিনারে গিয়ে সেই গোপন কেবিনে ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। পরে জোর করে করা হয়েছে তার গর্ভপাতও। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও রেস্তোরাঁ মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু তালেব বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে রেস্তোরাঁর এ পরিবেশ আমাদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। আমরা এমন রেস্টুরেন্ট খুঁজতে অভিযান চালাবো।

ধর্ষণের শিকার নারী তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ফেসবুকে বছরখানেক আগে পরিচয় হওয়া সৈকত ঘটকের সঙ্গে গেল ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি এসেছিলেন এখানে। সৈকত স্পেশাল ডিনারের দাওয়াত দেন। রেস্টুরেন্টে নিয়ে অনেকটা জোর করে ঢোকানো হয় একটি গোপন কেবিনে। স্পেশাল সেই ডিনার অর্ডার করার ৪০ মিনিট পর টেবিলে আসে খাবার। এ সময়ের মধ্যেই তাকে ধর্ষণ করা হয়।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ঘটনার পর ভুক্তভোগী ওই নারী রেস্তোরাঁ থেকে বের হয়ে বাসায় ফিরে যান। ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার ২০-২৫ দিন পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিষয়টি সৈকতকে জানালে ঢাকায় আসতে বলেন। মোহাম্মদপুরের সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ভুক্তভোগীকে। চিকিৎসকের দেয়া টেস্ট করানো হয় শংকরের ইবনে সিনা হাসপাতালে। সেখানেই জানতে পারেন তিনি গর্ভবতী।

বিষয়টি জানার পর গর্ভপাতের জন্য চাপ দেন সৈকত ঘটক। পান্থপথের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ানো হয়। দুই দিনের জন্য তারা পান্থপথের গ্রীন রোডের হোটেল আল ফাহাদ ইন্টাঃ লিঃ এ ওঠেন। এ অবস্থায় আবারও ধর্ষণ করা হয় তাকে।

Advertisement

এর পরদিন ১৪ মার্চ মিরপুরের ১৩ নম্বরে আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়ে জোরপূর্বক তার গর্ভপাত করানো হয় এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। বিয়ে না করে টালবাহানা করায় ১৯ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় সৈকত ঘটক এবং রেস্তোরাঁ মালিক শরিফ উদ্দিন তুহিনকে।